ব্রাহ্মণপাড়া প্রতিনিধি:
পবিত্র কুরআন মাজিদ হিফজ করতে দুই থেকে তিন বছর সময় লাগে। তবে মাত্র ১১ মাসে কোরআন মাজিদ মুখস্থ করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ার তেরো বছর বয়সী মুহাম্মদ মাজহারুল ইসলাম সোহান। অল্প সময়ে পুরো কোরআন মুখস্থ করার দৃষ্টান্ত স্থাপন করার সাফল্যে আনন্দিত তার সহপাঠী, পরিবারের সদস্য ও শিক্ষকরা।
মুহাম্মদ মাজহারুল ইসলাম সোহান উপজেলার শিদলাই ইউনিয়নের পূর্ব পোমকাড়া এলাকার সৌদিআরব প্রবাসী মুহাম্মদ সোহেল রানা ও মেরিনা আক্তার দম্পতির ছেলে।
জানা গেছে, মুহাম্মদ মাজহারুল ইসলাম সোহান কোরআন হিফজ করতে ২০২৩ সালে চট্টগ্রাম বারীয়া দরবার শরীফের পীর সুলতানুল ওয়ায়েজীন মোনাজারে আহলে সুন্নাহ বাহরুল উলুম আল্লামা মুফতী ছৈয়্যদ মুহাম্মদ শামসুদ্দোহা বারী হুজুর প্রতিষ্ঠিত উপজেলার সদর ইউনিয়নের কল্পবাস এলাকায় অবস্থিত মুহিব্বানে রাহমাতুল্লিল আলামিন হাফেজিয়া মাদরাসায় ভর্তি হয়। সেখান থেকেই সে কোরআন হিফজ সম্পন্ন করে। কোরআন হিফজের আগে সে নাজেরা পড়াও কৃতিত্বের সাথে সম্পন্ন করে।। এমন ছোট বয়সে কোরআন মুখস্থ করে সোহান এখন ওই মাদরাসার শিক্ষার্থীদের কাছে অনুপ্রেরণা হয়ে উঠেছে।
হাফেজ মুহাম্মদ মাজহারুল ইসলাম সোহান বলেন, মা-বাবার ইচ্ছে পূরণ করতে দিন-রাত পরিশ্রম করে পড়েছি। ভোররাতে আমার সহপাঠীরা যখন ঘুমাতো তখন আমি ঘুম থেকে উঠে একা একা পড়েছি। আমার শিক্ষকরাও আমাকে সহযোগিতা করেছেন। সকলের দোয়া ও আমার পরিশ্রম আমাকে এই সাফল্য এনে দিয়েছে। আমি আরও পড়াশোনা করে ইসলামের খেদমত করতে চাই।
মাদরাসার প্রধান হাফেজ মুহাম্মদ রবিউল্লাহ সিকদার বলেন, মুহাম্মদ মাজহারুল ইসলাম সোহান অন্য ছাত্রদের তুলনায় পড়াশোনায় বেশি মনোযোগী ছিল। তাকে যে পড়া দেওয়া হতো তারচে বেশি পড়া সে মুখস্থ করে দিতো। পড়ার প্রতি এতো আগ্রহ দেখে আমরাও তাকে সহযোগিতা করেছি।
তিনি বলেন, সোহান পড়াশোনা করে ভবিষ্যতে একজন বড় আলেম ও দাঈ হিসেবে ইসলামের খেদমতে নিজেকে আত্মনিয়োগ করতে চায়। আমরা তার সাফল্য কামনা করছি।