ব্রাহ্মণপাড়া প্রতিনিধি:
কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ায় উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হয়েছে আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা।
সোমবার (২৮ জুলাই) দুপুরে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে এ সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহমুদা জাহান।
সভায় বক্তারা বলেন, সীমান্তবর্তী এলাকায় যেসব যুবক ও তরুণ মোটরসাইকেল নিয়ে বেপরোয়া চলাচল করছে, তাদের কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। এই মোটরসাইকেলচালিত চক্রই মাদক পাচারসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত। অতএব, সীমান্তে মোটরসাইকেল চলাচলের ওপর কঠোর নজরদারি এবং প্রয়োজনে তা সম্পূর্ণভাবে নিয়ন্ত্রণে আনার ঘোষণা দেওয়া হয়।
সভায় হুঁশিয়ারি দিয়ে বলা হয়, মাদক চোরাচালান, কিশোর গ্যাং, সন্ত্রাসবাদ এবং অপরাধী চক্রের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স নীতি’ অনুসরণ করা হবে। কোনো অপরাধীকে বিন্দুমাত্র ছাড় দেওয়া হবে না। প্রয়োজনে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে এদের আইনের আওতায় আনা হবে।
বাল্যবিবাহ প্রতিরোধের বিষয়ে বলা হয়, কোনো অভিভাবক বা সমাজের কেউ যদি এ ধরনের বেআইনি কাজে জড়িত থাকেন, তাহলে তার বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিকভাবে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়, বাল্যবিবাহের মতো সামাজিক ব্যাধি নির্মূলে কেবল অনুরোধ নয়, কঠোর প্রয়োগই এখন একমাত্র পথ।
উপজেলার সড়কগুলোতে যানজট নিরসন ও যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের বিরুদ্ধে কঠোর অভিযান চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়। সভায় জানানো হয়, যেসব পরিবহন চালক বা মালিক যাত্রীদের জিম্মি করে বেশি ভাড়া আদায় করবে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সভায় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সৈয়দ ফারহানা পৃথা, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. মো. তোফায়েল আহমেদ ভূইয়া, ব্রাহ্মণপাড়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) টমাস বড়ুয়া, দুলালপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আনিসুর রহমান রিপন ভূঁইয়া, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা ইদ্রিস মিয়া মাস্টার, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. নুরুল ইসলাম, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা সৈয়দা হালিমা পারভীন, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. বিল্লাল চৌধুরী, সালদানদী বিওপির বিজিবি ক্যাম্প কমান্ডার সুবেদার শাহজাহান, ব্রাহ্মণপাড়া প্রেসক্লাবের সভাপতি সৈয়দ আহাম্মদ লাভলু, উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব মো. আমীর হোসেন, যুগ্ম আহ্বায়ক মো. নজরুল ইসলাম, জাতীয় পার্টির সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম, জাতীয় নাগরিক পার্টির প্রধান সমন্বয়ক মো. জহিরুল ইসলাম, ছাত্র প্রতিনিধি মো. মাসুদ আলমসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা।
সভায় সিদ্ধান্ত হয়, আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় কোনো প্রকার শৈথিল্য বা আপসকামিতা বরদাশত করা হবে না। জনগণের নিরাপত্তা এবং শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখতে প্রশাসন সর্বোচ্চ শক্তি প্রয়োগে প্রস্তুত রয়েছে।