গোলাম হোসাইন তামজীদ ।।
মানব শরীরের সবচেয়ে গুরত্বপূর্ণ উপাদান গুলোর একটি হচ্ছে রক্ত। জীবন মরণের জরুরী অবস্থায় ১টি জীবন বাঁচাতে রক্তের ভূমিকা অভাবনীয়। আর গত ছয় বছর ধরে জাগ্রত মানবিকতা এই কাজই করে আসছে।
শুধু রক্তদানই নয়, সমাজের অবহেলিত বঞ্চিত ও অসুস্থদের পাশে দাঁড়ানো তাদের সুস্থ স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনতে অনেক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। এভাবে আর্তমানবতার সেবায় আমরা দিনরাত এক করছি, কারন আমরা মানবিক সমাজ গড়তে এসেছি।
বুধবার বিকেলে কুমিল্লা ফান টাউনে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন জাগ্রত মানবিকতার মাসিক সভায় সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক ডাঃ তাহসীন বাহার সূচনা সংগঠনটির রক্তদাতা সদস্য ও কো-অর্ডিনেটরদের উদ্দেশ্য এসব কথা বলেন।
তাহসিন বাহার সূচনা আরো বলেন, জাগ্রত মানবিকতা তার সামাজিক দায়বদ্ধতার অংশ হিসেবে যারা প্রান্তিক পর্যায়ে নানা কাজ করে কুমিল্লা সুনাম ছড়িয়ে দিচ্ছে তাদেরকে সম্মানিত করছে প্রতিনিয়ত।
সংগঠনটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ভাইব কমিউনিকেশনের সিও সোয়েব বাপ্পি বলেন, জাগ্রত মানবিকতার সদস্যরা প্রতিনিয়ত রক্তদান করছে। পাশাপাশি রক্ত জোগাড় এবং রোগীর কাছে রক্ত পৌঁছে দেয়ার গুরুত্বপূর্ণ কাজটি তারা করছে। রক্তদানের ব্যাপারে তাদের কাছে দিন / রাত বলতে কিছু নেই, হোক সেটা সকাল/দুপুর অথবা গভীর রাত, তারা ছুটে যায় রক্তদাতার বেশে দেবদূত হয়ে। পরে সেই সব সময়ের অনুভূতি তারা মাসিক সভায় সাবলীলভাবে শেয়ার করছে। এতে করে তাদের মধ্যে লিডারশীপ তৈরী হচ্ছে। বিষয়টা আগামী প্রজন্মের জন্য দৃষ্টান্ত।
অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন কুমিল্লা প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এড. সৈয়দ নুরুর রহমান, ফান টাউনের জিএম শাকিল আহমেদ রানা, সংগঠনটির কো- অরডিনেটর সাগর আহমেদসহ অন্যান্যরা।
অনুষ্ঠানে কুমিল্লা নগরীর ৫নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সৈয়ন রায়হান আহমেদ, কুমিল্লা জাদুঘরের প্রতিষ্ঠাতা নাজমুল আবেদীন, ভাস্কর সামিউল আলম জাহেদ, মালেকা মমতাজ স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নিশাত জেসমিনকে সংবর্ধনা দেয়া হয়।
সংগঠনের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আনোয়ার হোসেনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ সম্মাননা দেয়া হয় মালেক মমতাজ স্কুলের এসএসসি পরীক্ষার্থী সুরাইয়া আক্তার সৃষ্টিকে। সুরাইয়া নিজেকে বাল্য বিয়ে থেকে রক্ষা করে জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের উপর রচনা লিখে ৫০টি স্কুলের মধ্যে প্রথম নির্বাচিত হন।
এছাড়াও গত মাসে জাগ্রত মানবিকতায় সর্বোচ্চ রক্ত সংগ্রহকারী পাঁচ কো-অর্ডিনেটর আরিয়ান জীবন, মোঃ শাকিল, কাইয়ুম, হৃদয় নূর, কাউসার আহমেদকে সম্মাননা স্মারক তুলে দেয়া হয়।