মুহা. ফখরুদ্দীন ইমন, চৌদ্দগ্রাম (কুমিল্লা) প্রতিনিধি:
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে ১১ বছর বসয়ী এক শিশু কন্যাকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে নজরুল ইসলাম (৪৫) নামে তারই সৎ দাদার বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় সহযোগিতার অভিযোগে আমেনা বেগম নামে এক নারীকে আটক করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃত আমেনা অভিযুক্ত নজরুল ইসলামের দ্বিতীয় স্ত্রী। ঘটনাটি ঘটেছে গত শুক্রবার বিকালে উপজেলার বাতিসা ইউনিয়নের দৈয়ারা পূর্বপাড়া এলাকায়। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত নজরুল ইসলাম পলাতক রয়েছে বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় ভিকটিমের মা বাদী হয়ে নজরুল ইসলাম ও তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। সোমবার (১৭ মার্চ) দুপুরে তথ্যটি নিশ্চিত করেন চৌদ্দগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ হিলাল উদ্দীন আহমেদ।
থানায় দায়েরকৃত মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত ১৪ মার্চ বিকালে ১১ বছরের শিশু কন্যা বাতিসা কালিকাপুর সীমান্ত ২১১০/১১ নং পিলার এলাকায় ফুটবল মাঠে খেলছিলো। এ সময় তার সৎ দাদা নজরুল ইসলাম কৌশলে ঐ শিশু কন্যাকে ডেকে নিয়ে ঘরের ভিতরে দরজা বন্ধ করে জোরপূর্বক ধর্ষনের চেষ্টা করে। শিশুটি কান্না করলে তার দাদী আমেনা বেগম ঘরের দরজা খুলে দেখেন তার স্বামী শিশুটিকে ধর্ষণের চেষ্টা করছে। ধর্ষনের বিষয়টি কাউকে না বলার জন্য দাদী তার শিশু নাতনীকে হুমকি ধমকি দেন। তারপরও বিষয়টি শিশু কন্যা তার মা এবং বাবাকে অবহিত করলে গত রোববার (১৬ মার্চ) স্থানীয়ভাবে একটি শালিস-বৈঠক বসে। বৈঠকে ভিকটিম শিশু সকলের সামনে প্রকৃত ঘটনা প্রকাশ করলে তার দাদী তাকে মারধর করে এবং প্রাণনাশের হুমকি দেয়। বৈঠক চলাকালে তার সৎ দাদা নজরুল ইসলামও শিশুটিকে মারধরের চেষ্টা করে। এ ঘটনায় শিশুটির মা বাদী হয়ে অভিযুক্ত দাদা নজরুল ইসলাম ও দাদী আমেনা বেগমকে আসামী করে রোববার রাতেই থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে দাদী আমেনা বেগমকে তার বাড়ী থেকে গ্রেফতার করে। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে মামলার প্রধান অভিযুক্ত ভিকটিমের সৎ দাদা নজরুল ইসলাম পালিয়ে যায় বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এ বিষয়ে চৌদ্দগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ হিলাল উদ্দীন আহমেদ, ‘শিশু ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ পেয়ে তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে একজনকে আটক করা হয়েছে। আইনী প্রক্রিয়া শেষে সোমবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে তাকে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। প্রধান অভিযুক্তকে গ্রেফতারে পুলিশি তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।’