1. [email protected] : Dainik Cumilla : Dainik Cumilla
  2. [email protected] : Habibur Monna : Habibur Monna
  3. [email protected] : unikbd :
ভিক্টোরিয়া কলেজের পতাকার স্ট্যান্ডে জুতা ঝুলিয়ে দিয়েছে স্থানীয়রা - Dainik Cumilla
রবিবার, ২২ জুন ২০২৫, ১০:৫৬ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
কুমিল্লায় ২৪ ঘণ্টায় করোনায় ও ডেঙ্গুতে মৃত্যু ২ চৌদ্দগ্রামে রেলওয়ের জায়গা উদ্ধারে অভিযান, জনরোষের মুখে পিছু হটলো কর্তৃপক্ষ কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডের আয়োজনে আন্তঃকলেজ সাঁতার প্রতিযোগিতা- ২০২৫ উদ্বোধন চৌদ্দগ্রাম পাইলট বালিকা বিদ্যালয়ের সভাপতি হলেন মু. মাহফুজুর রহমান বুড়িচং ব্রাহ্মণপাড়ায় শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিতে সাহেবাবাদ ডিগ্রি কলেজ ভূমিকা রাখছে….ব্যারিস্টার মামুন এতিম হাফেজ ও বুদ্ধি প্রতিবন্ধী শিশুসহ সকল শ্রেনীপেশার মানুষদের নিয়ে কুমিল্লায় একাত্তর টেলিভিশনের ১৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত চৌদ্দগ্রামের মুন্সীরহাটে ৩নং ওয়ার্ড বিএনপি’র দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত কুমিল্লার সদর দক্ষিণে যৌথ বাহিনীর অভিযানে অস্ত্রসহ ২ জন আটক কুমিল্লায় পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতির উদ্যোগে ফল উৎসব অনুষ্ঠিত কুমিল্লায় অজ্ঞাত কাভার্ড ভ্যান চাপায় এক যুবকের মৃত্যু

ভিক্টোরিয়া কলেজের পতাকার স্ট্যান্ডে জুতা ঝুলিয়ে দিয়েছে স্থানীয়রা

  • প্রকাশিতঃ শুক্রবার, ৭ মার্চ, ২০২৫
  • ৭৭ বার পঠিত

 

কলেজ প্রতিনিধি।।

কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের মসজিদে পছন্দের ইমামকে না রাখায় জাতীয় পতাকার স্ট্যান্ডে জুতা ঝুলিয়ে দিলেন নানান অভিযোগে অব্যহতি পাওয়া ইমাম মারুফ বিল্লার অনুসারীরা।

আজ শুক্রবার জুম্মার নামাজের পর কলেজের ডিগ্রি শাখার প্রশাসনিক ভবনের সামনে এ ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনার ২৫ সেকেন্ডের একটি ভিডিও ভাসছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। জুম্মার নামাজের আগে থেকে জুতা ঝুলিয়ে দেওয়ার ঘটনা পর্যন্ত পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার একাধিক লোকজন ক্যাম্পাসজুড়ে অবস্থান করছিলেন।

সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, জুম্মার নামাজের খোতবার আগে মসজিদের মিম্বরে মুসল্লিদের উদ্দেশ্যে কথা বলেন কলেজ এলাকার স্থানীয় গণ্যমান্য লোকজন। পূর্বে পরিস্থিতি যাতে আর না হয় আহ্বায়ন করে তারা বলেন, ভিক্টোরিয়া কলেজ একটি সুনামধন্য কলেজ। স্থানীয়দের সাথে ভিক্টোরিয়া কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের বিরোধ কখনো কাম্য নয়।

কলেজ মসজিদের অব্যাহতি পাওয়া ইমাক মারুফ বিল্লাহকে সসম্মানে বিদায় করার পাশাপাশি বর্তমান ইমামকে বাদ দিয়ে নতুন ইমাম নিয়োগ দিতে হবে। ব্যাপক প্রচার-প্রচারণার মাধ্যমে এমন একজনকে নিয়োগ দিতে হবে যাকে কলেজ ও মসজিদ এলাকার কেউ না চিনে। এ বিষয়ে আমরা ভিক্টোরিয়া কলেজ প্রশাসনের সাথে কথা বলব।

এই কথা মানেনি অব্যহতি পাওয়া ইমাম মারুফ বিল্লার একাংশ অনুসারী। খুতবা চলাকালে বের হয়ে যান মসজিদ থেকে। নামাজ শেষ হতেই বাকিরা যুক্ত হোন তাদের সাথে। এসময় কলেজের প্রশাসনিক ভবনের সামনে থাকা জাতীয় পতাকার তিনটি স্ট্যান্ডের মধ্যে মাঝের স্ট্যাডে বিভিন্ন অশ্লীল স্লোগান দিয়ে জুতা ঝুলিয়ে দেন ৮-১০ জন যুবকের একটি দল।

কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী সাঈদ আহামেদ বলেন, এ কেমন কাজ। ইমাম গেলে ইমাম আসবে। দোষ করলে মানুষ করছে। জাতীয় পতাকার অবমাননা করলো কেন। কলেজ প্রশাসনের উচিত তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা।

অভিযুক্ত ইমাম মারুফ বিল্লাহ বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছিছু জানি না। কলেজ প্রশাসন আমাকে অব্যাহতি দিয়েছে। আমি কলেজ থেকে চলে এসেছি৷ এখন কি ঘটনা করা করেছে এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না।

কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. আবুল বাসার ভূঁঞা বলেন, জাতীয় পতাকার স্ট্যান্ডে জুতা উত্তোলন, রাষ্ট্রদ্রোহী কাজের সমান৷ এই কাজ কখনোই আমাদের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে না। আমরা দ্রুত সময়ের মধ্যে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহিনুল ইসলাম বলেন, এই বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ পাইনি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উল্লেখ্য, ১৩ জানুয়ারি কলেজের ডিগ্রি শাখার মসজিদে তাবলিগের বিবদমান দুই পক্ষ মাওলানা সাদ ও জুবায়েরের অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার জেরে গত ২০ জানুয়ারি তাবলিগের সাপ্তাহিক তালিম সাময়িকভাবে বন্ধের ঘোষণা করে কলেজ অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. আবুল বাসার ভূঁঞা। বিষয়টি নিয়ে দীর্ঘদিনের মতবিরোধে ২১ জানুয়ারি সকাল ১১টা ২০ মিনিট থেকে দুপুর ১২টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত অধ্যক্ষকে অবরুদ্ধ করেন ইমাম মারুফ বিল্লার অনুসারীরা। এরপর ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে ইমাম মো. মারুফ বিল্লাহকে নানান অভিযোগ তুলে অব্যাহতি দেয় কলেজ প্রশাসন। পরে ১৮ ফেব্রুয়ারি নতুন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। ইমামকে চাকরিচ্যুত করার পর থেকেই কলেজে সংঘর্ষ শুরু হয়ে৷ প্রতি শুক্রবার নামাজের পূর্বের ইমামকে বহালের দাবি করে আসছে স্থানীয় একটি পক্ষ। প্রতি শুক্রবারই শিক্ষকদের সাথে সংঘর্ষ বাঁধে স্থানীয়দের ও কলেজের শিক্ষার্থীদের একটি অংশের।গত শুক্রবার ২৮ ফেব্রুয়ারি কলেজের নামজ শুরুর আগেই স্থানীয় কিশোর ও যুবকরা কলেজের অধ্যক্ষের ওপর হামলা করে। এসময় তারা অধ্যক্ষের গায়ে আঘাত করে। পাশ্ববর্তী নজরুল হলের শিক্ষার্থীরা পাশে দাঁড়াতে আসলে তাদের ওপর হামলা চালায় স্থানীয়রা। এসময় পুলিশ আসলেও স্থানীয়দের হামলায় প্রথমে পিছু হটে পরে আবার কলেজে প্রবেশ করে।

শেয়ারঃ

এই জাতীয় অন্যান্য সংবাদ
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৫ | দৈনিক কুমিল্লা    
Developed By UNIK BD