1. [email protected] : Dainik Cumilla : Dainik Cumilla
  2. [email protected] : Habibur Monna : Habibur Monna
  3. [email protected] : unikbd :
চৌদ্দগ্রামে যুবককে খুঁটির সাথে বেঁধে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতনের ভিডিও ভাইরাল - Dainik Cumilla
মঙ্গলবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:৩০ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
কুমিল্লার চান্দিনায় আওয়ামী লীগের ৫ নেতা-কর্মী আটক কুমিল্লায় চাঁদাবাজীর অভিযোগে ৩ রাজনৈতিক নেতাকে আটক করেছে যৌথ বাহিনী কুমিল্লায় আ.লীগের ঝটিকা মিছিল, গ্রেপ্তার ২০ কুমিল্লার হোমনাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে মাজার, দরবার ও খানকা শরীফে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের তীব্র নিন্দা ও বিচার দাবি: গাউছিয়া ইসলামিক মিশন মুরাদনগরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতের ১ বছর পর যুবকের লাশ উত্তোলন কুমিল্লায় শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে পুলিশ সুপারের পূজা মন্ডপ পরিদর্শন চৌদ্দগ্রামে বাড়তি বিদ্যুৎ বিল ও প্রি-পেইড মিটারের অনিয়মের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ কুমিল্লায় মাজার ভাঙচুর ও আগুনের ঘটনায় গ্রেপ্তার ২ ব্রাহ্মণপাড়ায় বাড়ছে স্ক্যাবিসের সংক্রমণ। চৌদ্দগ্রামে মেধা বিকাশ ইংলিশ লার্নিং স্কুলে অভিভাবক সমাবেশ অনুষ্ঠিত

চৌদ্দগ্রামে যুবককে খুঁটির সাথে বেঁধে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতনের ভিডিও ভাইরাল

  • প্রকাশিতঃ শনিবার, ২৫ জানুয়ারী, ২০২৫
  • ১৬১ বার পঠিত

 

মুহা. ফখরুদ্দীন ইমন, চৌদ্দগ্রাম (কুমিল্লা) প্রতিনিধি: কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে মায়ের সামনে সোলার ল্যাম্পের খুঁটির সাথে বেঁধে ইমরান হোসেন (২১) নামে এক যুবককে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন করেছে একদল সন্ত্রাসী। নির্মম নির্যাতনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগে মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। নির্যাতনের শিকার ওই যুবক আশংকাজনক অবস্থায় এখনো হাসপাতালে চিকিৎসাধিন রয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে গত শুক্রবার রাতে উপজেলার কনকাপৈত ইউনিয়নের দৌলতপুর গ্রামে। আহত ইমরান একই গ্রামের মো: শাহ আলমের ছেলে। এই ঘটনায় ভুক্তভোগির পরিবার বাদী হয়ে স্থানীয় চিহিৃত সন্ত্রাসী শহিদুর রেজা (রতন) মিয়াজীকে প্রধান আসামী করে ১৮ জনের বিরুদ্ধে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, ইমরান একজন ইলেকট্রিক মিস্ত্রি। শুক্রবার রাতে স্থানীয় তারাশাইল বাজারের বিকাশ দোকান থেকে ইমরান ৫০ হাজার টাকা নগদ উত্তোলন করে বাড়ি ফেরার পথে স্থানীয় সন্ত্রাসী শহিদুর রেজা (রতন) মিয়াজীর নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী পথরোধ করে অস্ত্রের মুখে তাকে জিম্মি করে এলোপাতাড়ি মারধর শুরু করে। এ সময় ইমরানের আত্মচিৎকারে তার মা আফরোজা বেগম বাড়ী থেকে ছুটে এগিয়ে আসলে সন্ত্রাসীরা তাকেও অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ফেলে। পরে ইমরানকে দৌলতপুর মসজিদের সামনে এনে একটি সোলার ল্যাম্পের খুঁটির সাথে বেঁধে মায়ের চোখের সামনে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন শুরু করে। এ সময় সন্ত্রাসীরা চতুর্দিকে অস্ত্র হাতে মহড়া দেওয়ায় স্থানীয় লোকজন এগিয়ে আসতে সাহস করেনি। সন্ধা ৬টা থেকে প্রায় রাত ৯টা পর্যন্ত এই নির্যাতন চলতে থাকে। নির্যাতনের একপর্যায়ে ইমরান অচেতন হয়ে পড়লে মৃত ভেবে সন্ত্রাসীরা তাকে রেখে পালিয়ে যায়। পরে পরিবারের লোকজন ইমরানকে গুরুতর আহত অবস্থায় চৌদ্দগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরে তার অবস্থার অবনতি ঘটলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে কুমিল্লা মেডিকেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। নির্যাতনের একটি ভিডিও চিত্র শনিবার সকাল থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে হামলার ঘটনায় অভিযুক্ত সন্ত্রাসীরা গা ঢাকা দেয়।

চৌদ্দগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জরুরী বিভাগে কর্মরত চিকিৎসক জাবেদ হোসেন বলেন, শুক্রবার রাত ১২টা ২০ মিনিটে মুমূর্ষূ অবস্থায় ইমরান হোসেনকে হাসপাতালে নিয়ে আসে। তার পুরো শরীরে বিভিন্ন আঘাতের চিহৃ দেখা গেছে। প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে আমরা তাকে আশংকাজনক অবস্থায় কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করি।

ইমরানের মা আফরোজা বেগম বলেন, ‘শহিদুর রেজা রতন মিয়াজী এলাকার চিহিৃত সন্ত্রাসী। এলাকায় তার নিজস্ব সন্ত্রাসী বাহিনী রয়েছে। তার সামাজিক অপকর্মের বিরুদ্ধে আমার ছেলে প্রায়সময় প্রতিবাদ করতো। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সে আমার ছেলেকে বিভিন্ন সময় হুমকি দিয়ে আসছিল। শুক্রবার সন্ধার পরে ইমরান তারাশাইল বাজারের একটি বিকাশ দোকান থেকে টাকা উঠিয়ে ফেরার পথে তাকে একা পেয়ে সন্ত্রাসীরা অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে মারধর শুরু করে। আমার ছেলের চিৎকার শুনে আমি এগিয়ে গেলে তারা আমাকেও অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে রাখে। এ সময় তারা মসজিদের সামনের একটি খুঁটির সাথে বেঁধে তাকে মধ্যযুগীয় কায়দায় প্রায় ৩ ঘন্টা ধরে নির্যাতন করে। পরে মৃত ভেবে তারা আমার ছেলেকে ফেলে রেখে চলে যায়। আমি প্রশাসনের প্রতি এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের গ্রেফতার ও শাস্তি নিশ্চিতের জোর দাবি জানাচ্ছি।

এ বিষয়ে চৌদ্দগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ হিলাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, ইমরান নামে এক যুবককে নির্যাতনের একটি ভিডিও চিত্র আমার নজরে এসেছে। অভিযুক্ত শহিদুর রেজা রতন মিয়াজীকে প্রধান আসামী করে ১৩ জনের নাম উল্লেখ সহ মোট ১৮ জনের বিরুদ্ধে ভুক্তভোগীর পরিবার থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। অভিযুক্তদের গ্রেফতার করতে পুলিশের একাধিক টিম মাঠে কাজ করছে।

শেয়ারঃ

এই জাতীয় অন্যান্য সংবাদ
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৫ | দৈনিক কুমিল্লা    
Developed By UNIK BD