নেকবর হোসেন ।।
কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার পীরযাত্রাপুর গ্রামের জোবেদা খাতুন কলেজে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা।
বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) দিবাগত রাত পৌনে ১টার দিকে ১০ থেকে ১৫ জনের একদল কালো পোশাক ও মুখোশধারী লোক কলেজের ৯টি কক্ষে একসঙ্গে দাহ্য পদার্থ দিয়ে অগ্নিসংযোগ দিয়ে ১৫ থেকে ১৬টি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পালিয়ে যায় বলে অভিযোগ তুলেছে কলেজ কর্তৃপক্ষ।
খবর পেয়ে রাতে বুড়িচং ফায়ার সার্ভিসের একটি টিম স্টেশন অফিসার মোঃ আতাউর রহমান সরকারের নেতৃত্বে ঘটনাস্থলে গিয়ে এক ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
আগুনে কলেজের ৯টি কক্ষ, সকল আসবাবপত্র, গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র পুড়ে প্রায় ৩০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানান কলেজের অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান ভূঁইয়া। তিনি বলেন, আমাদের কলেজটি শত্রুতামূলকভাবে নাশকতা করে আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দিয়েছে। কলেজে প্রায় ৩ শতাধিক শিক্ষার্থী নিয়ে আমি এখন মারাত্মক বিপাকে পড়েছি। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সাথে শত্রুতামি করে ছাত্রছাত্রী ও প্রতিষ্ঠানের ক্ষতি করে কী লাভ? আমি এখন শিক্ষার্থী শিক্ষকদের নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছি। দোষীদের দৃষ্টান্ত মূলক বিচার চাই।
কলেজের প্রতিষ্ঠাতা মো. জাকির হোসেন জাহেরের ভাই কবির হোসেন বলেন, রাতে কলেজ প্রাঙ্গণে ককটেলের বিস্ফোরণের শব্দ শুনে বাড়ি থেকে বের হয়ে কলেজের সামনে আসতে কালো পোশাক পরিহিত মুখোশ ধারী ১০-১৫ জন লোক আমাকে গুলি করার হুমকি এবং তারা দ্রুত পূর্ব দিকে পালিয়ে যায়। পরে খবর পেয়ে বুড়িচং থানা পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের একটি টিম ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
এদিকে কলেজে আগুন দিয়ে নাশকতার খবর পেয়ে শুক্রবার বিকালে ঘটনা স্থলে পরিদর্শন করেন কুমিল্লা -৫ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাড. আবুল হাসেম খান, বুড়িচং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাদিয়া আক্তার, থানার ওসি মোঃ ইসমাইলসহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ।
এ বিষয়ে বুড়িচং থানার ওসি মো. ইসমাইল হোসেন বলেন, সার্বিক পরিস্থিতিতে বুঝা গেছে এটি একটি নাশকতা মূলক কাণ্ড। যারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে।