1. support@dainikcumilla.com : Dainik Cumilla : Dainik Cumilla
  2. ghossaintamzid@gmail.com : Habibur Monna : Habibur Monna
  3. admin@dainikcumilla.com : unikbd :
কুবিতে বছর জুড়ে ছিলো শিক্ষক-শিক্ষার্থী আন্দোলন - Dainik Cumilla
শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫, ০৩:১৭ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
ব্রাহ্মণপাড়ায় শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের ইফতার ও দোয়া মাহফিল কুমিল্লায় ৩ কোটি টাকার ভারতীয় অবৈধ আতশবাজি আটক কুমিল্লা আলিয়া কামিল মাদরাসার প্রিন্সিপাল মুফতি আব্দুল মতিনের প্রথম জানাজায় মুসল্লিদের ঢল ভিক্টোরিয়া কলেজ থিয়েটার (ভিসিটি)’র ইফতার মাহফিল সম্পন্ন মনোহরগঞ্জের বিপুলাসারে চাঁদা না পেয়ে প্রবাসীর উপর হামলা কুমিল্লায় বিজিবি’র অভিযানে ১ কোটি ১৯ লক্ষ টাকার অবৈধ ভারতীয় বাজি জব্দ নাঙ্গলকোটে ধর্ষণ মামলায় যুবলীগ নেতা শ্রীঘরে বিএনপির বিরুদ্ধে বিভিন্ন প্রোপাগান্ডা হচ্ছে। যারা লুটপাট করছে তাদের কথা আসছে না -বরকত উল্লাহ বুলু কুমিল্লায় বিজিবি’র অভিযানে ৩৪ লক্ষ টাকা মূল্যের অবৈধ ভারতীয় বাজি জব্দ নামাজ পড়তে বের হয়ে লাশ হয়ে ফিরল কিশোর

কুবিতে বছর জুড়ে ছিলো শিক্ষক-শিক্ষার্থী আন্দোলন

  • প্রকাশিতঃ মঙ্গলবার, ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৪
  • ৭৪ বার পঠিত

 

চৌধুরী মাছাবিহ্, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়

২০২৪ সাল শেষ হতে আর কয়েকঘন্টা বাকি । এই বছরটি প্রতিটা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য স্মরনীয়। ছাত্র আন্দোলন, হামলা-মামলা, উপাচার্যসহ বড় প্রশাসনীক পদে রদ বদল ঘটে যায় ২০২৪ সালে। তবে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র আন্দোলন শুরু হওয়ার আগে শিক্ষক উপাচার্যের দন্দে স্থবির ছিলো কুবির শিক্ষা কার্যক্রম। আবার কোটা আন্দোলনে বড় একটা অবদান ছিলো কুবি শিক্ষার্থীদের। যেখানে প্রাণ হারিয়েছে কুবি শিক্ষার্থী আব্দুল কাইয়ূম।

কুবি শিক্ষার্থীদের দীর্ঘ দিনের দাবি ছিলো স্বতন্ত্র ভর্তি পরীক্ষায় যাওয়া। বছর শেষ হয় উপাচার্যের সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে এই দাবি পূরণের মাধ্যমে। এভাবে সারা বছর বিভিন্ন ঘটনায়, সংবাদে আলোচনায় ছিলো কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়।

শিক্ষক সমিতি উপাচার্যের দন্দ্বের সূত্রপাত

১৯ ফেব্রুয়ারি কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির ২০২৪ কার্যনির্বাহী পরিষদ নির্বাচনের পর নির্বাচিত শিক্ষকরা তৎকালীন উপাচার্য অধ্যাপক ড. এএফএম আবদুল মঈনের সঙ্গে দেখা করতে যান। এ সময় তৎকালীন প্রক্টর কাজী ওমর সিদ্দিকীর ইন্ধনে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যপন্থি কিছু কর্মকর্তা ও চাকরিপ্রত্যাশী বহিরাগতরা শিক্ষকদের ওপর হামলা করেন। পরবর্তীতে শিক্ষক সমিতি হামলার বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করেও বিচার পায়নি।

দাবি আদায়ে শিক্ষক সমিতির ক্লাস বর্জন

শিক্ষকদের ওপর হামলার বিচারের দাবিতে ১৩ ও ১৪ মার্চ প্রথম দফায় এবং দাবি না মানায় আবারো ১৯ থেকে ২৭ মার্চ পর্যন্ত ক্লাস বর্জনের ঘোষণা দেয় শিক্ষক সমিতি।


প্রশাসনিক পদ থেকে পদত্যাগের হিড়িক ২৮ এপ্রিল দাবি আদায়ে উপাচার্যের কার্যালয়ে তালা দেন শিক্ষক সমিতি ও সাধারণ শিক্ষকদের একাংশ।এরই জেরে শাখা ছাত্রলীগের একাংশ, সাবেক শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন মামলার আসামিদের নিয়ে শিক্ষকদের ওপর হামলা করেন তৎকালীন উপাচার্য, ট্রেজারার ও প্রক্টর। এই হামলার জেরে উপাচার্যের অপসারণ চেয়ে এক দফা দাবি ঘোষণা করে কুবি শিক্ষক সমিতি। পরবর্তীতে মোট ১৮ জন শিক্ষক বিভিন্ন প্রশাসনিক পদ থেকে পদত্যাগ করেন।


এক দফা দাবিতে উপাচার্যের কুশপুত্তলিকা

তৎকালীন উপাচার্য অধ্যাপক ড. এএফএম আবদুল মঈনের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন করে আসছিলেন শিক্ষক সমিতি। পরবর্তীতে আন্দোলনের অংশ হিসেবে ১০মে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক ও গোল চত্বরের ডাস্টবিনের ওপর উপাচার্যের কুশপুত্তলিকা ঝুলিয়ে দেয় শিক্ষক সমিতি।

 

আন্দোলনকে স্তিমিত করতে অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্যাম্পাস বন্ধ

শিক্ষক-প্রশাসনের দ্বন্দ্ব এবং ক্রমাগত আন্দোলনের জেরে ৩০ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ক্যাম্পাস অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে। আবাসিক হলগুলো বন্ধ করে শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়।

গবেষণার অর্থ আত্মসাৎ

শিক্ষার্থীদের গবেষণার অর্থ আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র পরামর্শক ও নির্দেশনা কার্যালয়ের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. হাবিবুর রহমানের বিরুদ্ধে। গবেষণা প্রতিষ্ঠান শিক্ষার্থীদের কাছে টাকা পৌঁছে দিতে তার কাছে টাকা পাঠালে প্রজেক্ট ফেল হয়েছে এমন অভিযোগ এনে শিক্ষার্থীদের টাকা দিতে অস্বীকার করেন তিনি

শিক্ষার্থীদের কোটা আন্দোলন

সরকারি চাকরিতে কোটা ব্যবস্থা পুনর্বহালের প্রতিবাদে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে ৪ জুলাই থেকে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অধিকার আদায়ে আন্দোলন শুরু করে।

ছাত্র আন্দোলনে প্রথম রক্তাক্ত কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়

জুলাইয়ের ১১ তারিখ বাংলাদেশের মধ্যে প্রথম কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর গুলি চালায় পুলিশ। এদিন পুলিশের গুলিতে আহত হয় প্রায় ২০ জন শিক্ষার্থী।

আন্দোলন কেড়ে নিলো কুবির মেধাবী

৫ আগস্ট সাভারে আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হন
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আব্দুল কাইয়ূম। পরে ৭ আগস্ট সাভারের একটি মেডিকেলে তিনি মৃত্যু বরণ করেন। তিনি ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন।

প্রধান প্রশাসনিক পদে রদবদল

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছাড়ার পর দেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের ফলে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কাঠামোতে বড় ধরনের পরিবর্তন আসে। তৎকালীন উপাচার্য অধ্যাপক ড. এএফএম আবদুল মঈন প্রথমে পদত্যাগপত্রের নাটক সাজিয়ে স্বপদে বহাল তবিয়তে থাকতে চেয়েছেন পরে শিক্ষার্থীদের ক্রমাগত আন্দোলনের চাপে পদত্যাগ করেন। উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. হুমায়ুন কবির, এবং প্রক্টর কাজী ওমর সিদ্দিকী শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের মুখে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. হায়দার আলী কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের অষ্টম উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পান। প্রথমবারের মতো কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক ড. মাসুদা কামাল এবং অধ্যাপক ড. মো. সোলায়মান যথাক্রমে উপ-উপাচার্য এবং ট্রেজারার হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন।

দুটি কাজ থেকেই প্রায় ৫৬ শতাংশ টাকা আত্মসাত

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের নব নির্মাণ স্পোর্টস গ্যালারি ও উপাচার্যের বাংলো মেরামত থেকে অভিনব কায়দায় প্রায় ৬০ লক্ষ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ প্রকৌশল শহীদুল ইসলাম বিরুদ্ধে। গ্যালারি নির্মাণ ও উপাচার্যের বাংলো মেরামতে খরচ হয় ৪৮ লাখ ২৬ হাজার তিনশো এক টাকা। কিন্তু সেই বিল ৫৯ লাখ ৬৮ হাজার টাকা বাড়িয়ে ১ কোটি ৭ লাখ টাকা দেখিয়েছে কুবির এ প্রকৌশল।

 

যৌন হয়রানি, ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগ শিক্ষকের বিরুদ্ধে

ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জসিম উদ্দিন বিভিন্ন শিক্ষার্থীর ধর্মীয় আচরণকে কটাক্ষ্য করেন এবং ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানেন। বিশেষ করে পর্দানশীন শিক্ষার্থীরা বরবারই তার রোষানলে পড়েছে। পর্দানশীন ছাত্রীদেরকে জোর করে নিকাব খুলানো, পর্দা নিয়ে বিরূপ মন্তব্য, জঙ্গী ট্যাগ দেয়া, ভাইভার মধ্যে নিকাব খুলতে বাধ্য করা, খুলতে না চাইলে মৌখিক হেনস্থা ও পরীক্ষায় নাম্বার কমিয়ে দেয়ার মাধ্যমে তাদের মানসিক নির্যাতন ও ব্যাক্তিগত স্বাধীনতায় আঘাত হেনেছেন।

তিন হলের নতুন নামকরণ

গত ২২ নভেম্বর কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০১ তম সিন্ডিকেট সভায় দুটি হলের নাম পরিবর্তন ও একটি হলের নতুন নামকরণ করা হয়। শেখ হাসিনা হলের নাম পরিবর্তন করে সুনীতি-শান্তি হল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় বিজয়-২৪ হল। এছাড়া নতুন ক্যাম্পাসে ছাত্র হল-১ এর নাম রাখা হয় শহীদ আব্দুল কাইয়ূম হল।

নিজস্ব পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা

গুচ্ছ থেকে বের হয়ে আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে নিজস্ব পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়। ১৫ ডিসেম্বর একাডেমিক কাউন্সিলে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

 

শেয়ারঃ

এই জাতীয় অন্যান্য সংবাদ
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৫ | দৈনিক কুমিল্লা    
Developed By UNIK BD