1. support@dainikcumilla.com : Dainik Cumilla : Dainik Cumilla
  2. ghossaintamzid@gmail.com : Habibur Monna : Habibur Monna
  3. admin@dainikcumilla.com : unikbd :
১১ ডিসেম্বর লাকসাম মুক্ত দিবস - Dainik Cumilla
শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫, ০৫:৫৯ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
ব্রাহ্মণপাড়ায় শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের ইফতার ও দোয়া মাহফিল কুমিল্লায় ৩ কোটি টাকার ভারতীয় অবৈধ আতশবাজি আটক কুমিল্লা আলিয়া কামিল মাদরাসার প্রিন্সিপাল মুফতি আব্দুল মতিনের প্রথম জানাজায় মুসল্লিদের ঢল ভিক্টোরিয়া কলেজ থিয়েটার (ভিসিটি)’র ইফতার মাহফিল সম্পন্ন মনোহরগঞ্জের বিপুলাসারে চাঁদা না পেয়ে প্রবাসীর উপর হামলা কুমিল্লায় বিজিবি’র অভিযানে ১ কোটি ১৯ লক্ষ টাকার অবৈধ ভারতীয় বাজি জব্দ নাঙ্গলকোটে ধর্ষণ মামলায় যুবলীগ নেতা শ্রীঘরে বিএনপির বিরুদ্ধে বিভিন্ন প্রোপাগান্ডা হচ্ছে। যারা লুটপাট করছে তাদের কথা আসছে না -বরকত উল্লাহ বুলু কুমিল্লায় বিজিবি’র অভিযানে ৩৪ লক্ষ টাকা মূল্যের অবৈধ ভারতীয় বাজি জব্দ নামাজ পড়তে বের হয়ে লাশ হয়ে ফিরল কিশোর

১১ ডিসেম্বর লাকসাম মুক্ত দিবস

  • প্রকাশিতঃ মঙ্গলবার, ১০ ডিসেম্বর, ২০২৪
  • ৫৮ বার পঠিত

 

মোঃ আবুল কালাম,
লাকসাম (কুমিল্লা) প্রতিনিধি.

১১ই ডিসেম্বর (বুধবার) বৃহত্তর লাকসাম মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এ দিনে মুক্তিবাহিনী হানাদার পাকিস্তানি সৈন্যদের হটিয়ে লাকসাম-মনোহরগঞ্জকে শত্রুমুক্ত করেন।
বীর মুক্তিযোদ্ধা মনোহর আলী তোতা জানান, স্বাধীনতাকামী লাকসামের সর্বস্তরের জনতা মার্চের প্রথম দিকেই মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে। পাকবাহিনী কুমিল্লা দখল করে সড়ক পথে লাকসামে আসার সময় মুক্তিসেনারা লালমাই, বাগমারা, আলীশ্বরে প্রচন্ড বাঁধার সৃষ্টি করে। এতে বহু মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন। ১৫ই এপ্রিল পাক সেনারা লাকসামকে তাদের দখলে নিয়ে রেলওয়ে জংশনের পাশে থ্রি-এ সিগারেট ফ্যাক্টরীতে ক্যাম্প স্থাপন করে। এ ক্যাম্প থেকে পাক বাহিনী বৃহত্তর লাকসামসহ ফেনী, চাঁদপুর, নোয়াখালী ও কুমিল্লার দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায় অত্যাচার, নির্যাতন, খুন, ধর্ষন ও ধ্বংসাত্মক কর্মকান্ড চালাত।
এদিকে, মুক্তিযোদ্ধারা ট্রেনিং নিয়ে আস্তে আস্তে সংগঠিত হয়ে পাক সেনাদের উপর আক্রমন চালাতে থাকে। এতে পাক সেনাদের সাথে লাকসামসহ আশে পাশের এলাকায় মুখোমুখি যুদ্ধ শুরু হয়। এক পর্যায়ে পাক বাহিনী পরাজিত হয়ে চাঁদপুরের দিকে পালাতে থাকে। সর্বশেষ ১০ই ডিসেম্বর লাকসামের মুদাফরগঞ্জে মুখোমুখি যুদ্ধের পর পাক সেনারা ওইদিন রাতে পালিয়ে যেতে শুরু করে। পালানোর পথে ছনগাঁ গ্রামে অবস্থান নেয় এদের একটি দল। এ খবর পৌঁছে যায় মুক্তিযোদ্ধা ও মিত্রবাহিনীর কাছে। ১০ই ডিসেম্বর রাতে পাকিস্তানি বাহিনীর সৈন্যদের ঘেরাও করে তারা। ১১ ডিসেম্বর সকালে হানাদারেরা বুঝতে পারে, তারা ফাঁদে আটকা পড়ে গেছে। সেখান থেকে বের হওয়ার মরিয়া চেষ্টা চালায় তারা। মুক্তিবাহিনী ও মিত্রবাহিনীকে লক্ষ্য করে তারা গুলি ছুড়তে থাকে।

সেদিনের ওই লড়াইয়ের বর্ণনা দিয়ে লাকসাম উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার আবদুল বারী মজুমদার বলেন, সকালে হানাদার বাহিনীর গুলিতে কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধা ও ভারতীয় সেনা প্রাণ হারান। একপর্যায়ে বুলেট শেষ হয়ে যায় পাকিস্তানি সেনাদের। এরপর শুরু হয় বেয়নেটের লড়াই, চলে দুপুর ১২টা পর্যন্ত। একপর্যায়ে মিত্রবাহিনীর কাছে আত্মসমর্পন করে কমবেশি ৫০ জন পাকিস্তানি সৈন্য। ওই লড়াইয়ে নিহত হয় অনেক পাকিস্তানি সৈন্য। হানাদারের গুলিতে মারা যায় বহু সাধারণ মানুষও।
১১ই ডিসেম্বর লাকসামের মুক্তিযোদ্ধারা ও মুক্তি পাগল জনতা বাংলাদেশের লাল সবুজ জাতীয় পতাকা উড়িয়ে লাকসামকে মুক্ত ঘোষনা করে। পাকিস্তানি সৈন্যদের আত্মসমর্পণের পর লাকসামে শুরু হয় মুক্তিকামী জনতার উল্লাস। তবে এই আনন্দের মাঝেও তাঁদের মধ্যে ছিল সহযোদ্ধাদের হারানোর বেদনাবোধ।
লাকসাম উপজেলা প্রশাসন, পৌরসভা, মুক্তিযোদ্ধাসহ বিভিন্ন সংগঠন দিবসটি উপলক্ষে নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে।

লাকসাম উপজেলা নির্বাহী অফিসার কাউছার হামিদ দৈনিক কালবেলাকে জানান, লাকসাম হানাদার মুক্ত দিবস উপলক্ষে উপজেলা প্রশাসন শহীদ ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণে সকাল ১১টায় লাকসাম মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে দোয়া মোনাজাত ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে।

ছবির ক্যাপশন:
লাকসাম রেলওয়ে জংশনের দক্ষিণ প্রান্তে বেলতলী বধ্যভূমিতে শহীদদের স্মরণে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের নির্মিত স্মৃতি স্তম্ভ।

 

শেয়ারঃ

এই জাতীয় অন্যান্য সংবাদ
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৫ | দৈনিক কুমিল্লা    
Developed By UNIK BD