মোঃ রেজাউল হক শাকিল, ব্রাহ্মণপাড়া ।।
সম্প্রতি ভয়াবহ বন্যায় কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ সংযোগ সড়ক ভেঙে যাওয়ায় বাঁশের সাঁকো দিয়ে পারাপার করেছে দুই উপজেলার ব্শি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ। উপজেলার চান্দলা টানাব্রীজ থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার মন্দবাগ-বায়েক সংযোগ সড়কটি সালদা নদীর তীব্র পানির স্রোতে তিনটি স্থানে ভেঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এছাড়া, সড়কের বাকী অংশজুড়ে পিচ উঠে ইটের খোয়া বেরিয়ে গেছে। বিভিন্ন স্থানে ছোট বড় গর্ত হয়ে আছে।
স্থানীয়রা নিজ উদ্যোগে বাঁশ দিয়ে সাঁকো তৈরি করে ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছে। তবে এ সড়কে সকল প্রকার যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। তিন কিলো মিটারের এ সড়ক দিয়ে মানুষকে ঝুঁকি নিয়ে পায়ে হেটেই চলাচল করতে হচ্ছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, চান্দলা টানাব্রীজ থেকে মন্দবাগ বাজার সংযোগ সড়কের পূর্ব অংশে দেউশ এলাকায় প্রায় ১৮ ফুট, পশ্চিম অংশে শান্তিনগর এলাকায় ৪৫ ও মাঝখানে প্রায় শতফুট ভেঙে দুই পাশের খালে সংযোক্ত হয়েছে। এ পাশের পানি ওপাশের খালে প্রবাহিত হচ্ছে। ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার চান্দলা, শশীদল ও কসবা উপজেলার বায়েক ও মঈনপুর ইউনিয়নের প্রায় ২০ টি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষের চলাচলের একমাত্র সড়ক এটি।
স্থানীয়রা জানান, সম্প্রতি ভয়াবহ বন্যায় উজানের ঢল, সালদানদী ও গোমতী নদীর প্রতিরক্ষা বাঁধ বেঙে তীব্র পানির স্রোতে এই সড়কটির তিনটি স্থানে ভেঙে পানি লোকালয়ে প্রবেশ করে। এতে এই সড়ক দিয়ে যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। পরে স্থানীয় যুবসমাজ স্বেচ্ছাশ্রমে সড়কের ভেঙে যাওয়া স্থানগুলোতে বাঁশেরে সাঁকো নির্মান করে প্রাথমিক ভাবে পারাপারের ব্যবস্থা করে।
স্থানীয়রা জানান, সড়কটি দিয়ে যান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এসব গ্রামের মানুষ চরম দুর্ভোগে পরছে। অফিসিয়াল কাজকর্ম, স্থায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষার্থী ও শ্রমজীবী মানুষজন প্রতিদিনই পায়ে হেটে তাদের নিজ নিজ গন্তব্যে যাতায়াত করছে। সড়কটি দিয়ে কোন যানবাহন চলাচল করতে না পারায় রোগীদের নিয়ে বিপাকে পড়তে হয় তাদের। যানবাহনের অভাবে সময় মতো রোগীদের হসপিটানে নেওয়া সম্ভব হয় না। দ্রুত এই সড়কটি সংস্কার করে চলাচলে উপযোগী করে দেওয়ার আহবান জানান ওই সড়কে চলাচলকারী লোকজন।
ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা প্রকৌশলী মো. আবদুর রহিম বলেন, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত সড়কগুলো পরিদর্শন করেছি। ইতোমধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত সড়কগুলোর সংস্কার চেয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বরাবর চাহিদাপত্র পাঠানো হয়েছে। অধিক ক্ষতিগ্রস্ত ৩৬ কিলোমিটার পাকা সড়ক সংস্কার করতে ২০ কোটি টাকার চাহিদা দেওয়া হয়েছে। আশা করছি, খুব শিগগিরই আমরা তা বাস্তবায়ন করতে সক্ষম হব। এ ছাড়াও ক্ষতিগ্রস্ত অন্যান্য সড়কগুলো আগামী ২-৩ মাসের মধ্যে সরকারি সহযোগিতায় সংস্কার করা হবে।
ক্যাপশন:- ব্রাহ্মণপাড়ার চান্দলা টানাব্রীজ থেকে মন্দবাগ বাজার সংযোগ সড়কের তিনটি স্থানে ভেঙে দুই পাশের খালে সংযোক্ত হয়েছে। এ পাশের পানি ওপাশের খালে প্রবাহিত হচ্ছে। এত ব্রাহ্মণপাড়ার চান্দলা, শশীদল ও কসবা উপজেলার বায়েক ও মঈনপুর ইউনিয়নের প্রায় ২০ টি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ দুর্ভোগে পরেছে।