1. support@dainikcumilla.com : Dainik Cumilla : Dainik Cumilla
  2. ghossaintamzid@gmail.com : Habibur Monna : Habibur Monna
  3. admin@dainikcumilla.com : unikbd :
গোমতীর ভাঙনে বসতভিটা হারাল নারান্দিয়া গ্রামের ৬০ পরিবার - Dainik Cumilla
রবিবার, ১৬ মার্চ ২০২৫, ০৩:৩১ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
চৌদ্দগ্রামে কনকাপৈত ইউনিয়নে ০৯নং ওয়ার্ড বিএনপি’র দোয়া ও ইফতার মাহফিল মাহে রমজান সংযম, ত্যাগ, ধৈর্য্য ও শৃঙ্খলার শিক্ষা দেয়: সফিকুর রহমান ব্রাহ্মণপাড়ায় শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের ইফতার ও দোয়া মাহফিল কুমিল্লায় ৩ কোটি টাকার ভারতীয় অবৈধ আতশবাজি আটক কুমিল্লা আলিয়া কামিল মাদরাসার প্রিন্সিপাল মুফতি আব্দুল মতিনের প্রথম জানাজায় মুসল্লিদের ঢল ভিক্টোরিয়া কলেজ থিয়েটার (ভিসিটি)’র ইফতার মাহফিল সম্পন্ন মনোহরগঞ্জের বিপুলাসারে চাঁদা না পেয়ে প্রবাসীর উপর হামলা কুমিল্লায় বিজিবি’র অভিযানে ১ কোটি ১৯ লক্ষ টাকার অবৈধ ভারতীয় বাজি জব্দ নাঙ্গলকোটে ধর্ষণ মামলায় যুবলীগ নেতা শ্রীঘরে বিএনপির বিরুদ্ধে বিভিন্ন প্রোপাগান্ডা হচ্ছে। যারা লুটপাট করছে তাদের কথা আসছে না -বরকত উল্লাহ বুলু

গোমতীর ভাঙনে বসতভিটা হারাল নারান্দিয়া গ্রামের ৬০ পরিবার

  • প্রকাশিতঃ বুধবার, ৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
  • ৬০ বার পঠিত

নেকবর হোসেন

গোমতীর ভয়াবহ থাবায় কুমিল্লার তিতাসের নারান্দিয়া গ্রামে ৬০টি পরিবারের ঘরবাড়ি নদীর বুকে বিলীন হয়েছে। এসব অঞ্চলে স্থায়ীভাবে নদীভাঙন রোধে প্রকল্প গ্রহণের জন্য বহুবার আশ্বাস দিলেও গত দেড়যুগে কার্যত কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নারান্দিয়া ইউনিয়নের পশ্চিম ও পূর্ব পাড়ের নদীর তীরবর্তী ঘরবাড়ি ভেঙে নদীতে বিলীন হয়েছে। এতে ভিটাবাড়ি হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছে অন্তত ৬০টি পরিবার। এ ছাড়াও নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে মসজিদ, বৈদ্যুতিক খুঁটি, হাঁস-মুরগির খামার ও অর্ধশতাধিক মাছের খামারসহ বিভিন্ন স্থাপনা। বর্তমানে নদীর তীরবর্তী শত শত পরিবার নদীভাঙনের আতঙ্কে খোলা আকাশের নিচে রাত জেগে ভাগাভাগি করে পাহারা দিচ্ছে। প্রতি বছরের মতো এবারও ভারি বর্ষণ ও ভারতের উজান থেকে নেমে আসা ঢলে ভাসিয়ে নিয়ে যাচ্ছে নদী পাড়ের মানুষের স্বপ্নের নীড়গুলো। সর্বক্ষণ ভাঙন আতঙ্কে, অনিদ্রা, অনাহারে প্রহর গুনছেন সহায়সম্বলহীন মানুষগুলো। ভাঙন থেকে রক্ষা পেতে সর্বমহলের সহায়তা চেয়ে মানববন্ধনও করেছে এখানকার ভুক্তভোগী পরিবারগুলো।

স্থানীয়রা জানান, প্রায় পঞ্চাশ বছর ধরে আমরা এই ভাঙ্গা-গড়ার খেলায় প্রতিদিন হেরে যাচ্ছি। আমরা আর পারছি না, আমরা এই অবস্থা থেকে পরিত্রাণ চাই। গত ৩০ বছরে ভাঙনের এই তাণ্ডবে পড়ে হাজারো পরিবার অন্যত্র চলে গেছে। আমরা আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে অন্যত্র যেতে পারছি না।

নারান্দিয়া পুর্বপাড়ের সমাজসেবক গোলাম মহিউদ্দিন জিলানী বলেন, আমাদের এই অঞ্চলে দীর্ঘ ৩০ বছর আগে ভাঙন শুরু হয়। গত ৬-৭ বছরে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সামান্য কিছু জিও ব্যাগ ও ব্লক এলেও সঠিক জায়গায় স্থাপন হয়নি। তাই নারান্দিয়া গ্রামকে বাঁচাতে হলে দ্রুত ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

নারান্দিয়া পশ্চিম পাড়ার সাবেক মেম্বার মফিজুল ইসলাম বলেন, আমাদের নারান্দিয়া ইউনিয়নের পশ্চিম পাড়া এলাকায় মসজিদ, মাদ্রাসা, বাড়িঘর, প্রাইমারি স্কুলসহ গোমতীর নদীর পানিতে বিলীন হয়ে গেছে অর্ধশতাধিক মৎস্য প্রকল্প। এমতাবস্থায় মসজিদ, মাদ্রাসা এবং নারান্দিয়া বেড়িবাঁধসহ যেসব ভিটেমাটি এখনো সুরক্ষিত আছে সেগুলো রক্ষার্থে আমরা সরকারের সংশ্লিষ্টকে অনুরোধ করব, যেন দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়।

এ ব্যাপারে তিতাস ইউএনও সুমাইয়া মমিন বলেন, আমরা সর্বদাই তাদের খোঁজ-খবর নিচ্ছি। তাছাড়া তাদের ঘরে ঘরে ত্রাণ দিয়েছি। ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করেছি, সরকারি বরাদ্দ এলে তাদের জন্য কিছু করার চেষ্টা করব এবং তাদের থাকার ব্যাপারে কোনো সমস্যা হলে তাদের জন্য আশ্রয়ণকেন্দ্রগুলো খোলা আছে। সেখানে তারা আশ্রয় নিতে পারবে।

শেয়ারঃ

এই জাতীয় অন্যান্য সংবাদ
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৫ | দৈনিক কুমিল্লা    
Developed By UNIK BD