মোঃ রেজাউল হক শাকিল।।
ব্রাহ্মণপাড়াঃকুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার চান্দলা ইউনিয়নে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে চুরির অপবাদে সাজ্জাত খন্দকার (১৯) নামে এক যুবককে গাছের সাথে ঝুলিয়ে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে । পরিবার ও এলাকাবাসী সুত্রে জানা যায় , ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার চান্দলা পশ্চিম পাড়া গ্রামের আঃ ছাক্তার খন্দকারের পাশাপাশি বাড়ির সরাফত আলীদের সাথে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে পারিবারিক কলহের জেরে গত ২২ আগস্ট দুপুরে সাজ্জাত খন্দকার ও তার বন্ধু মাহাবুব এর ছেলে সাগরকে ডেকে নিয়ে গাছের সাথে বেধে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। পরে এলাকাবাসী আহত দুইজনকে উদ্ধার করে ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এলে কর্ত্যবরত চিকিৎসক সাজ্জাতের অবস্থা খারাপ দেখে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল প্রেরণ করে। সাজ্জাত খন্দকার ২৯ আগস্ট বৃহস্পতিবার বিকেলে চিকিৎসা অবস্থায় মারা যায়।অপর দিকে সাগর চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে। সাজ্জাত চান্দলা গ্রামের সাত্তার খন্দকার এর ছেলে। এমন অমানবিক নির্যাতনের ফলে সাজ্জাত এর মৃত্যুতে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চলের সৃষ্টি হয়েছে এবং দোষীদের আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানান ৷ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ঐ এলাকার লোকজন বলেন সাজ্জাদ দেশের স্মরন কালের শ্রেষ্ঠ ছাত্র আন্দোলনের চান্দলা ইউনিয়নের অন্যতম সদস্য ছিল৷ অন্যদিকে শরাফত আলীর ছেলে মোঃ রাসেল, আজিজুল হকের ছেলে মোঃ সুজন,কাশেমের ছেলে আকতার হোসেন, বজলু খন্দকারের ছেলে মোঃ কবির হোসেন, রহমানের ছেলে মোঃ আমির হোসেন, রেনু মিয়ার ছেলে হৃদয় হাসান, ফুলমিয়ার ছেলে মোঃ রেজাউল তারা এলাকায় মাধকের বড় সিন্ডিকেট চালাত, ফলে সাজ্জাতের সাথে এখান থেকে শত্রতার সৃষ্ঠি হয় তাদের৷ যার ফলে জিবন দিতে হল সাজ্জাদ কে৷ শুক্রবার বাদ আসর চান্দলা কে বি স্কুল মাঠে জানাযার নামাজ শেষে তাকে তার পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে৷ আহত সাগর বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছে৷ এ ব্যপারে ব্রাহ্মণপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ এস এম আতিক উল্লাহ ঘটনা স্বীকার করে বলেন, কয়েকদিন আগে পারিবারিক কলহের জেরে সাজ্জাতকে পিটিয়ে আহত করে। বৃহস্পতিবার কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল চিকিৎসা অবস্থায় মারা যায়। এ বিষয়ে থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে