1. [email protected] : Dainik Cumilla : Dainik Cumilla
  2. [email protected] : Habibur Monna : Habibur Monna
  3. [email protected] : unikbd :
সমাজকর্মী নূরুল হক হত্যা মামলা; ব্রাহ্মণপাড়ায় ফাঁসির আসামি ও স্বজনদের হুমকিতে নিরাপত্তাহীনতায় বাদীর পরিবার - Dainik Cumilla
সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ০৫:২১ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
কুমিল্লায় টাইফয়েড টিকাদান কর্মসূচি আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন চৌদ্দগ্রামে টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন’র উদ্বোধন করলেন ইউএনও ব্রাহ্মণপাড়ায় ট্রাক চালককে ভ্রাম্যমান আদালতে জরিমানা ব্রাহ্মণপাড়ায় টাইফয়েড টিকার কার্যক্রম উদ্বোধন লাকসামে মাসব্যাপী টাইফয়েড টিকাদান কর্মসূচি উদ্বোধন কুমিল্লা সীমান্তে বিপুল পরিমাণ মাদক জব্দ জুলাই সনদ ও পিআরসহ পাঁচ দফা দাবিতে কুমিল্লায় জামায়াতের স্মারকলিপি প্রদান বুড়িচংয়ে প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও মাদরাসার ১ লাখ শিক্ষার্থী পাবে টাইফয়েড টিকা কুমিল্লাকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ স্লোগান, নোয়াখালীর বাস আটকে দিল বিক্ষুদ্ধ জনতা ধান্যদৌল আলোর পথ যুব সংঘের উদ্যোগে ১৮ তম বার্ষিক তাফসীরুল কোরআন মাহফিল অনুষ্ঠিত

সমাজকর্মী নূরুল হক হত্যা মামলা; ব্রাহ্মণপাড়ায় ফাঁসির আসামি ও স্বজনদের হুমকিতে নিরাপত্তাহীনতায় বাদীর পরিবার

  • প্রকাশিতঃ মঙ্গলবার, ১৩ আগস্ট, ২০২৪
  • ২০৬ বার পঠিত

মোঃ রেজাউল হক শাকিল।।

কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ায় সমাজকর্মী নুরুল হক হত্যা মামলায় ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ও তাদের স্বজনদের হুমকির মুখে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন নরুল হকের পরিবার। মঙ্গলবার দুপুরে সাংবাদিকদের একথা জানিয়েছেন নিহত নুরুল হকের ছেলে মো. শরিফুল ইসলাম, ভাতিজা আবদুল আলীম ও মোহাম্মদ হোসেন।
গত ২৬ জুন (বুধবার) দুপুরে নুরুল হক হত্যা মামলায় ছয়জনকে মৃত্যুদণ্ড ও ১০ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ চতুর্থ আদালত। রায়ের পর আসামি ও তাদের স্বজনরা সরাসরি এবং বিভিন্ন মাধ্যমে হুমকি দিয়ে আসছে নুরুল হকের পরিবারকে। এতে তারা নিরাপত্তাহীনতায় দিন কাটাচ্ছেন বলে দাবী করেন।
মামলার বাদী নুরুল হকের ছেলে শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘জমির বিরোধ নিয়ে সালিসের রায়ে ক্ষিপ্ত হয়ে মামলার আসামিরা ২০১১ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় বাড়ি ফেরার পথে আমার বাবা নুরুল হককে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে এবং পিটিয়ে হত্যা করে। এ ঘটনায় ২২ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয় কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। তদন্তকারী কর্মকর্তা ২০ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতের চার্জশিট দেন। রায় দেওয়ার সময় আদালতের এজলাসে ১১ জন আসামি উপস্থিত ছিলেন ও সাত আসামি পলাতক ছিলেন। মামলার বিচার চলাকালীন দুই আসামি মৃত্যুবরণ করেন এবং দুজনকে বেকসুর খালাস দেন আদালত। এছাড়া বাকিদের মধ্যে ছয়জনকে মৃত্যুদণ্ড ও ১০ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ চতুর্থ আদালতের বিচারক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন।
যে ছয় আসামিকে আদালত মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন তারা হলেন, মো. মাছুম (৩৫), তাজুল ইসলাম (৩২), মো. মোস্তফা (২৪), আব্দুল কাইয়ূম (২৮), মো. কাইয়ূম (২৫) ও তবদল হোসেন (৪০)। এছাড়া যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, মো. নান্নু (৪০), আব্দুল মতিন (৪০), সাইদুল হোসেন (২৪), বাবুল মিয়া (২৫), মো. সফিক (৩৫), সফিকুল ইসলাম (২৮), মো. মোসলেম মিয়া (৩৫), মো. হেলাল মিয়া (২৫), বিল্লাল হোসেন (৩০), মো. সফিক (২৮) ও আব্দুল আউয়াল।
নরুল হকের ভাতিজা আবদুল আলীম দাবি করেন, রায়ের পর থেকে হাজতে থাকা ও পলাতক আসামিরা এবং তাদের স্বজনরা প্রতিনিয়ত হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। রাস্তাঘাটে চলাচলের সময় তারা আমাদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে মারপিট করতে উদ্যত হয়।
ভাতিজা মোহাম্মদ হোসেন বলেন, ‘জমির বিরোধ নিয়ে সালিসের রায়ে ক্ষিপ্ত হয়ে মামলার আসামিরা ২০১১ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় বাড়ি ফেরার পথে আমার চাচা নুরুল হককে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে এবং পিটিয়ে হত্যা করে। এতে আমরা মামলা করলে মামলার রায়ে আদালত ছয়জনকে মৃত্যুদণ্ড ও ১০ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন। এখন আসামিরা বেপরোয়া হয়ে হুমকি ধামকি দিচ্ছে। তিনি দ্রুত তার চাচা নুরুল হক হত্যা মামলার রায় কার্যকরের দাবি জানান।

শেয়ারঃ

এই জাতীয় অন্যান্য সংবাদ
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৫ | দৈনিক কুমিল্লা    
Developed By UNIK BD