গাজী জাহাঙ্গীর আলম জাবির, বুড়িচং।।
কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার বিভিন্ন গ্রামীণ সড়কগুলো অনেক দিন ধরে মেরামত ও সংস্কারের অভাবে বেহাল দশায় রূপান্তরিত হয়েছে। সাধারণ যানবাহন ও জনগণের চলাচলে ভোগান্তি চরম আকার ধারণ করেছে। এগুলোর মধ্যে যে সমস্ত গ্রামীণ সড়কগুলো পূর্বের চেয়ে আরো ভেঙ্গে গেছে সেগুলোর মধ্যে বিশেষ করে ভারেল্লা (উ.) ইউনিয়নের কংশনগর বাজার হতে গোমতির আইল দিয়ে রামচন্দ্রপুর সড়ক, বুড়িচং কালিকাপুর সড়ক, বুড়িচং সদরের ইউনিয়ন পরিষদ থেকে মাদ্রাসা সড়ক, রাজাপুর ইউনিয়নের শংকুচাইল বাজার হতে ভবেরমুড়া ঘিলাতলা সড়ক, বুড়িচং জরইন রাজাপুর স্টেশন সড়ক, পূর্নমতি বাগানবাড়ী হতে বাজারপুর মাদ্রাসা ও উচ্চ বিদ্যালয় সড়ক। পূর্ণমতি ভঙ্গুরবাড়ী হতে রাজাপুর রেল স্টেশন সড়ক। চড়ানল নবীয়াবাদ ভায়া লড়িবাগ উত্তরপাড়া হয়ে বুড়িচং উপজেলার বারেশ্বর মাদ্রাসা হয়ে ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার নগরপাড় হয়ে সাহেবাবাদ (বলদা) সড়ক বছরের পর বছর বেহাল দশায় থাকায় যাত্রী ও সাধারণ জনগণ এবং সব ধরনের যানবাহন ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। এ ব্যাপারে উপজেলা
প্রকৌশলী আলিফ আহম্মেদ অক্ষর বলেন- অচিরেই কংশনগর বাজার হতে গোমতির আইল দিয়ে রামচন্দ্রপুর পর্যন্ত প্রায় আড়াই কি. মি. সড়কের কাজ হাতে নেয়া হবে। এছাড়া, অন্যান্য সড়কগুলো ও পর্যায়ক্রমে সংস্কার কাজ করা হবে বলে জানান। অধিকন্তু বুড়িচং কালিকাপুর ভায়া যদুপুরের সড়কটিতে যে সেতুটি রয়েছে তার আপাতত মেরামত কার্যক্রম করা হলেও বর্তমানে তা আরো ভেঙ্গে পড়ার উপক্রম হয়েছে। উক্ত সড়কগুলো দিয়ে কালিকাপুর, বাকশীমুল, আনন্দপুর, জঙ্গলবাড়ী, লড়িবাগ, বারেশ্বর পাচোঁড়া, চড়ানল, ধারেশ্বর, নবীয়াবাদ, শংকুচাইল, হায়দ্রাবাদ রাজাপুর ও ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার হরিমঙ্গল, শশীদল, মল্লিাকাদীঘি, বাগড়া, নাইঘর, তেতাভূমি, সেনের বাজার ও বেগমাবাদ সহ পার্শ্ববর্তী অন্যান্য গ্রামের বাসিন্দারা নিকটবর্তী উপজেলা,জেলা ও রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে খুব সহজে যাতায়াত করতে পারছে। উল্লেখিত সড়কগুলো সংষ্কার ,মেরামত করা হলে এই এলাকার যাত্রী সাধারণ অতি সহজে সারাদেশে অর্থাৎ জেলা, উপজেলায় যোগাযোগ সহজ হবে। অত্র এলাকার সুশীল সমাজ ও সাধারণ স্থানীয়দের একান্ত চাওয়া বুড়িচং-ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার সংযোগ সড়ক সহ অন্যান্য যে সমস্ত সড়কের কাজ বাকী রয়েছে ওই সমস্ত গ্রামীণ সড়কগুলোর মেরামত ও সংস্কারে অচিরেই কুমিল্লা-৫ আসনের এমপি আলহাজ্ব এম এ জাহের সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এগিয়ে আসবেন।আর তা হলেই, সরকারের মিশন ভিশন বাস্তবায়নের পথ আরো ত্বরান্বিত হবে বলে মনে করছেন সাধারণ জনগণ ।