নেকবর হোসেন
কুমিল্লা প্রতিনিধি
পবিত্র রমজান মাস শুরু হতে আর মাএ এক মাসের বেশি সময় বাকি। এরই মধ্যে রমজানকে সামনে রেখে ঘোড়ার গতিতে বাড়তে শুরু করেছে নিত্যপণ্যের বাজার। প্রতি সপ্তাহেই পণ্যের দাম বাড়ছে। কেজিতে ৪ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে আটা, ময়দা, চিনি,ডাল, ডিম, সয়াবিন তেল ও মুরগির দাম।
রবিবার (২৮ জানুয়ারি) কুমিল্লা নগরীর কয়েকটি বাজার ঘুরে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
সরেজমিনে নগরীর বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি স্বর্ণা ৫৩ থেকে ৫৫ টাকা, নাজিরশাইল ৭৮ থেকে ৮৪ টাকা, চিনিগুঁড়া চাল ১৪০ থেকে ১৫৫ টাকা ও মিনিকেট ৭০ থেকে ৭৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে, বাজারে পেঁপে, মুলা ছাড়া অন্যান্য সবজি ৮০ টাকার ওপরেই বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া রসুনের দাম ২০ থেকে ৪০ টাকা এবং আদা ১০ থেকে ৩০ টাকা বেড়েছে। আদা ও রসুন প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৬০ থেকে ২৮০ টাকা পর্যন্ত। ৮০ টাকা দরে বিক্রি হওয়া পেঁয়াজ এখন ৯০ থেকে ১০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া গতবছর প্রতি কেজি ছোলা মানভেদে বিক্রি হয়েছে ৭৫ থেকে ৮০ টাকা, যা এক মাস আগেও একই দাম দেখা গেছে। ওই ছোলা এখন ১০০ থেকে ১২০ টাকায় উঠেছে। একইভাবে প্রতি কেজি মসুর ডালের দাম ১০ টাকা বেড়ে ছোট দানার মসুর ডাল ১৪০ থেকে ১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ভালো মানের মুগ ডালের কেজি হয়েছে ১৬০ থেকে ১৮০ টাকা, যা এক সপ্তাহ আগেও ১৫০ টাকার মধ্যে ছিল।
অন্যদিকে নতুন করে বেড়েছে ফার্মের মুরগির ডিমের দাম। প্রতি ডজন ফার্মের মুরগির ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৪৫ টাকা দরে। বোতলজাত ভোজ্যতেলের দাম গত সপ্তাহে প্রতি লিটারে ৪ টাকা বাড়ানো হয়েছে।
এরপর থেকে খোলা সয়াবিন ও পাম তেলের দাম বাড়ছে। প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন বিক্রি হচ্ছে ১৫৫ থেকে ১৬০ টাকা এবং পাম তেল ১৩০ থেকে ১৩৫ টাকা। আগের সপ্তাহের তুলনায় যা ৫ টাকা বেশি।
এ ছাড়া প্রতি কেজি খোলা চিনি এলাকা ভেদে ১৪০ থেকে ১৫০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। যা এ যাবৎকালের সবোর্চ্চ। বাজারে এখন গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকায়। এছাড়া ব্রয়লার মুরগির কেজি ২০০ থেকে ২২০ টাকা।
রাজগঞ্জ বাজারের ক্রেতারা অনেকেই বলছেন, প্রতি বছরই রমজানের আগে জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যায়। এবারও তেমনটি হয়েছে।