মোঃ রেজাউল হক শাকিল।।
কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ায় চতুর্দিক ঘন কুয়াশায় ছেয়ে যাওয়ায় স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় নেমে এসেছে মন্থর গতি। বিশেষ করে ভোগান্তিতে পড়েছেন ইরি বোরো চাষিরা। এদিকে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকরা বলছেন, আবহাওয়ার এই ধরনের তারতম্যে মানবদেহে এর বিরূপ প্রতিক্রিয়া পড়ে।এতে মানুষ ঠাণ্ডাজনিত নানা অসুখ-বিসুখে আক্রান্ত হয়।
উপজেলার মহালক্ষীপাড়া এলাকার ইরি বোরো চাষি সাইফুল ইসলাম বলেন, গত কয়েকদিন থেকে মাঘের তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে। ভোর থেকে ঘন কুয়াশা জেঁকে বসে। এতে বোরো মাঠে আমাদের স্বাভাবিক কাজকর্ম ব্যহত হচ্ছে। ঘন কুয়াশায় কিছুক্ষণ অবস্থান করলে শরীর বরফের মতো শীতল হয়ে আসে।
একই এলাকার আরেক ইরি বোরো চাষি তবদল হোসেন বলেন, গত কয়েকদিন ধরে শীতের প্রকোপ অনেক বেড়েছে। এ বছর ২০ শতক জমি প্রস্তুত করেছিলাম বোরো চারা রোপণ করার জন্য। ভোরে বীজতলা থেকে ধানের চারা তুলতে এসে দেখি গাঢ় কুয়াশায় চারদিক ছেয়ে গেছে। কিছুক্ষণ ধানের চারা তোলার পর দুই হাত ঠান্ডায় বাইমা ধরে আসে। বেশি সময় একনাগাড়ে কাজ করা যাচ্ছে না।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আবু হাসনাত মোঃ মহিউদ্দিন মুবিন বলেন, ঘন কুয়াশায় বাইরে বের হলে স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য মাস্ক পরিধান করা জরুরি। এরকম আবহাওয়ায় বাইরে বেশি সময় না থাকাই উত্তম।
তিনি আরও বলেন, এ সময়টাতে ভারী কুয়াশার কারণে বৃদ্ধ ও শিশুরা ঠাণ্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকে। তাই তাদের প্রতি বিশেষ নজর রাখতে হবে।