কুমিল্লা-১১, চৌদ্দগ্রাম থেকে চারবারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য সাবেক সফল রেলপথ ও ধর্ম মন্ত্রী মোঃ মুজিবুল হক এমপি বলেছেন, এলাকার মানুষের ভাগ্য উন্নয়নের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত বা আগ্রহী নেতাদের মাটি ও মানুষের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকতে হয়। তিনি বলেন, নেতা হতে হলে এলাকার মানুষকে ভালোবাসতে হয়, মানুষের প্রতি দায়িত্ববোধ নিয়ে তাদের ঐক্যবদ্ধ রেখে অর্পিত কাজ সম্পন্ন করাই প্রকৃত নেতার কাজ।
তিনি আরও বলেন, দেশ স্বাধীন হয়েছে দেশের মানুুষের ভাগ্য পরিবর্তনে পরিকল্পিত উন্নয়ন কাজ করার জন্য। আমরা চৌদ্দগ্রামে প্রায় ৫০ বছর ধরে আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে তৃণমূলে সরাসরি সম্পৃক্ত থেকে সংগ্রামে,আন্দোলনে উন্নয়নে,সুখে-দুঃখে মানুষকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করি। এখানে একটাই রাজনীতির কথা আমরা বলে এসেছি, তা হলো সম্মিলিতভাবে মানুষের জন্য কাজ করতে হবে। আমরা যদি এক থাকি, আমাদের পিছনে যদি জনগণের সমর্থন থাকে, তাহলে আমাদের ন্যায্যহিস্যা দিতেই হবে। কেউ আমাদের বঞ্চিত করতে পারবে না। জনগণের ঐক্যই হচ্ছে আমাদের শক্তি।
মুজিবুল হক মুজিব বলেন, বিগত বছরগুলোতে নতুন নতুন রাস্তাঘাট তৈরি করে চৌদ্দগ্রামকে জেলা শহর, বিভাগীয় শহর তথা রাজধানীর সঙ্গে সংযুক্ত করতে সক্ষম হয়েছি। আগে চৌদ্দগ্রামের মানুষ এক গ্রাম থেকে অন্য গ্রামে বা বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে উপজেলায় বর্ষাকালে আসতে মানুষের অনেক কষ্ট হতো।আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় আসার আগ পর্যন্ত এই চৌদ্দগ্রামের ৯৫ ভাগ সড়ক ছিলো মাটির জরাজীর্ণ, খানাখন্দ । এখন মানুষ পাকা সড়কপথে সর্বত্র যাতায়াত করে। এটাই উন্নয়নের পরিচায়ক। এই চৌদ্দগ্রামের সার্বিক উন্নয়নের ৯৫ ভাগ আওয়ামীলীগের আমলে হয়েছে।
কুমিল্লা দঃ জেলা আওয়ামীলীগের সংগ্রামী সাধারন সম্পাদক মুজিবুল হক মুজিব এমপি বলেন, এলাকার উন্নয়ন কাজের জন্য কারও না কারও দায়িত্ব নিতে হয়। আমরা এই দায়িত্ব পালনে সচেষ্ট আছি, যা রাজনৈতিক বিভাজন, মতানৈক্য, ঝগড়া-বিবাদ ইত্যাদির ঊর্ধ্বে উঠে সম্পন্ন করেছি। দেশে একটা রাষ্ট্রীয় শিষ্টাচার রয়েছে। এলাকার উন্নয়নের জন্য সংসদ সদস্যের ভূমিকা রাষ্ট্রীয়ভাবে নির্ধারিত থাকে। যাকে অবহেলা, অবজ্ঞা বা অস্বীকার করা এক ধরণের ভ্রান্তি। এরূপ আচরণ মানুষের অধিকারকে ক্ষুণ্ন করে, মানুষ বঞ্চিত হয়। অতীতে এই চৌদ্দগ্রামের মানুষের ভাগ্য নিয়ে যারা দায়িত্বে ছিলেন তাঁরা সাধারন জনগনের সাথে প্রতারনা করেছেন,ধোঁকা দিয়েছেন।আওয়ামীলীগ এবং মুজিবুল হক যা বলে আল্লাহর রহমতে তা বাস্তবায়ন করে।
তিনি আরো বলেন, জনগণের প্রয়োজনের কথা জানি বলেই আমরা জনগনের কল্যানে সার্বিক উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণে আজ সক্ষম হয়েছি। চৌদ্দগ্রাম উপজেলা এখন একটি আধুনিক উন্নয়নে দৃশ্যমান মডেল উপজেলা।
মুজিবুল হক মুজিব বলেন, আল্লাহর রহমতে প্রান প্রিয় নেত্রী, বিশ্বনেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার আন্তরিক আশীর্বাদে আমি নৌকা প্রতীক পেয়ে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ থেকে মনোনয়ন নিয়ে তিনবার পরাজিত হয়ে অবশেষে চৌদ্দগ্রামের মানুষের ভালবাসায় ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত হয়ে চারবার এমপি হয়েছি, হুইপ হয়েছি, মন্ত্রী হয়েছি। আল্লাহ মানুষকে ক্ষমতা দেন তার ঈমান পরীক্ষার জন্য। আমরা মানুষের উন্নয়নের জন্য রাজনীতি করি, জনগণ যদি এক থাকে তাহলে আমাদের শক্তি বৃদ্ধি পায়, সংহতি হয়। তাই আজ বলতে চাই,চৌদ্দগ্রামের উন্নয়নের ব্যাপারে সবাইকে কাজ করতে হবে এবং তা ঐক্যবদ্ধভাবে। রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার সদ্ব্যবহার করে, সৎ সাহসের সঙ্গে, সদিচ্ছা নিয়ে এই চৌদ্দগ্রামের আপাময় মানুষের জন্য অতীতেও কাজ করেছি, আগামীতেও কাজ করতে চাই।