1. [email protected] : Dainik Cumilla : Dainik Cumilla
  2. [email protected] : Habibur Monna : Habibur Monna
  3. [email protected] : unikbd :
কুমিল্লা বিভিন্ন উপজেলায় বন্যায় ফসলের ক্ষতি ৮৪৮ কোটি টাকার - Dainik Cumilla
বৃহস্পতিবার, ০৭ অগাস্ট ২০২৫, ০৫:৫৩ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
ঢাকাস্থ বুড়িচং-ব্রাহ্মণপাড়া উন্নয়ন সংস্থার মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত কুমিল্লা-৯ নির্বাচনি আসন পুনর্বহাল ও খসড়া বাতিল দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে নাঙ্গলকোটে বিএনপির বিজয় র‌্যালী বুড়িচংয়ে মসজিদে নামাজরত যুবককে ছুরিকাঘাত: অভিযুক্ত ২ জন গ্রেপ্তার নাঙ্গলকোটে ইউপি সদস্য আলাউদ্দিন হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন আগামী দিনের বাংলাদেশ কীভাবে চলবে তা নির্বাচিত সংসদ সদস্য ও জনপ্রতিনিধিরাই ঠিক করবেন: ডা. জাহিদ হোসেন জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে লাকসামে জামায়াতের গণমিছিল বৃষ্টি উপেক্ষা করে হাজারো নেতাকর্মীর অংশগ্রহণ চৌদ্দগ্রামে জুলাই শহীদ জামশেদ ও মাওলানা শাহাদাতের কবর জিয়ারত করলো জামায়াত নাঙ্গলকোটে বৃষ্টিতে ভিজে জামায়াতের গণমিছিলে জনতার ঢল চৌদ্দগ্রামে জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে জামায়াতের গণমিছিল

কুমিল্লা বিভিন্ন উপজেলায় বন্যায় ফসলের ক্ষতি ৮৪৮ কোটি টাকার

  • প্রকাশিতঃ বৃহস্পতিবার, ২৯ আগস্ট, ২০২৪
  • ২৩৪ বার পঠিত

নেকবর হোসেন:

কুমিল্লায় বন্যার পানি কমতে শুরু করার সঙ্গে স্পষ্ট হয়ে উঠছে ক্ষতচিহ্ন। ক্ষেতে মাচান থাকলেও নেই সবুজ গাছ। পানির নিচ থেকে ভেসে উঠছে হলুদ, আদা, আউশ, আমন ও শরৎকালীন বিভিন্ন সবজি ক্ষেত। কুমিল্লায় প্লাবিত হয়েছে ৬৩ হাজার ৭৯৪ হেক্টর ফসলি জমি। এতে কৃষি বিভাগের ৮৪৮ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।
গতকাল বুধবার দুপুরে কুমিল্লা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কার্যালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, কুমিল্লার ১৪ উপজেলায় ১ লাখ ৩৫ হাজার ২৩৫ হেক্টর জমিতে ফসল আবাদ করা হয়েছিল। বন্যায় ৬৩ হাজার ৭৯৪ হেক্টর ফসলি জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত এসব ফসলের মধ্যে রোপা আমন বীজতলা ৪ হাজার ৫১৫ হেক্টর ও ধান ২৩ হাজার ৩০৯ হেক্টর, শাকসবজি ২ হাজার ১৯ হেক্টর, রোপা আউশ ৩৩ হাজার ৫৮০ হেক্টর, বোনা আমন ৩৩৫ হেক্টর এবং ২১৬ হেক্টর আখ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
এর মধ্যে ২০ হাজার ৬৪১ হেক্টর রোপা আমন, ১ হাজার ৬১৫ হেক্টর খরিপ শাকসবজি, ২০ হাজার হেক্টর রোপা আউশ এবং ১১ হেক্টর আখ ফসলের জমি সম্পূর্ণ নষ্ট হয়েছে। বন্যার পানিতে তলিয়ে আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৪০৪ হেক্টর শাকসবজি, ১৩ হাজার ৪৩২ হেক্টর রোপা আউশ এবং ২০৫ হেক্টর আখ ফসলের জমি।
এছাড়া ক্ষয়ক্ষতির মধ্যে আছে ২২৩ কোটি ৪১ লাখ টাকার রোপা আমন বীজতলা, ২৬৯ কোটি ৯৮ লাখ ৪৩ হাজার টাকার রোপা আমন, ৪৯ কোটি ৬৫ লাখ টাকার শাকসবজি, ২৯৭ কোটি ৮৫ লাখ ৭২ হাজার টাকার রোপা আউশ এবং ৭ কোটি ৬৮ লাখ টাকার আখের ফসল।
ব্রাক্ষণপাড়ার গ্রামের কৃষক শাহাদাৎ হোসেন জানান, তাঁর দুই একর জমি আবাদের জন্য তৈরি করা বীজতলা নষ্ট হয়ে গেছে। এখন নতুন করে বীজতলা তৈরি করতে হবে।
তিতাস উপজেলার নদী তীরবর্তী এলাকার কৃষক সোহরাব হোসেন বলেন, আমার ১৮ বিঘা ধান পানিতে তলাইয়া গেছে। আমি এনজিও ঋণ আইনা ধান লাগাইছিলাম। আমার মতো অনেকেই বিভিন্ন জায়গা ঋণ কইরা ধান লাগাইছে। এহন ঋণের টাকা শোধ করমু কেমনে ? সরকার যদি আমাগো দিকে না তাকায় তয় মইরা যামু।

এ বিষয়ে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কুমিল্লার উপ-পরিচালক আইয়ুব মাহমুদ বলেন, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়তে পারে। প্রতিদিনই বন্যার পরিস্থিতি অবনতির দিকে যাচ্ছে। তিনি আরও বলেন, বন্যা পরবর্তী সময়ে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষি জমি এবং কৃষকদের পুনর্বাসনের জন্য প্রয়োজনীয় বরাদ্দ দেয়া হবে।
এদিকে এখন পর্যন্ত কুমিল্লায় বন্যার পানিতে ১৫ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা।
উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, কুমিল্লায় মৃত ১৫ জনের মধ্যে বুড়িচং উপজেলায় শিশুসহ ৪ জন, তিতাসে ২ জন, নাঙ্গলকোটে ৩ জন, লাকসামে ৩ জন এবং মুরাদনগর, মনোহরগঞ্জ ও ব্রাহ্মণপাড়ায় ১ জন করে মারা গেছেন।

শেয়ারঃ

এই জাতীয় অন্যান্য সংবাদ
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৫ | দৈনিক কুমিল্লা    
Developed By UNIK BD