খলিলুর রহমান।।
দেবিদ্বার উপজেলার ঐতিহ্যবাহী ধামতী দরবার শরীফের মাহফিলের ব্যস্ত দোকানপাট। তার মাঝে মাঝবয়েসী বাবুল মিয়া হাসিমুখে চটপটি বানাতে ব্যস্ত। ক্রেতাদের সাথে হাসিমুখে কথা বলছেন,যেন অনেক দিনের পরিচিত। উৎসাহী হয়ে এগিয়ে গিয়ে তার ব্যবসায়ী জীবনের ইতিবৃত্ত জানতে চাই।
বাবুল মিয়া জানান- ১০ বছর যাবৎ চটপটির ব্যবসা করছেন। চটপটি ব্যবসার আগেও ২০ বছর চমচম আর মুড়ালির ব্যবসা করেছেন। সংসার চালানোর পাশাপাশি ৪ জন ছেলেমেয়ের পড়াশোনার খরচ বহন করেছেন। একসময় ছেলেরা বাবার ব্যবসায় সাহায্য করার জন্য এগিয়ে আসে। বাবুল মিয়া চমচম আর মুড়ালির ব্যবসা ছেড়ে দেন। ব্যবসা ছাড়ার কারণ জিজ্ঞেস করলে তিনি জানান-"ছেলেমেয়েদের পড়াশুনার ক্ষতির কথা চিন্তা কইরা চমচম-মুড়ালির ব্যবসা ছাইড়া দিছি!"
নিজে প্রাইমারী পাস করলেও ছেলেমেয়েদের উচ্চশিক্ষিত করার জন্য সবসময় ছিলেন অনড়। বড় মেয়েকে এসএসসি পাস করিয়ে বিয়ে দিয়েছেন। ছোট মেয়েকে এইচএসসি পাস করিয়ে বিয়ে দিয়েছেন। বড় ছেলে লিটনকে এসএসসি পাস করিয়ে বিদেশ পাঠিয়েছেন। ছোট ছেলে ইউসুফ মাদ্রাসায় হিফয বিভাগে পড়াশোনা করছে। ছোট ছেলেকে আলেম বানানোর তার খুব ইচ্ছা।
ব্যবসা এবং পরিবার নিয়ে জিজ্ঞেস করলে তিনি জানান- আলহামদুলিল্লাহ। আল্লাহ তায়ালা অনেক ভালো রাখছে। আল্লাহর দরবারে হাজার হাজার শুকরিয়া।