কুমিল্লা প্রতিনিধি.
মুরাদনগরে ড্রেজারের গর্তে ফসলি জমি ভেঙ্গে পরায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন কৃষকরা। উপজেলার পাহাড়পুর ইউনিয়নের উরিশ্বর গ্রামে এই ঘটনা ঘটেছে।
গত দুই বছর ধরে উরিশ্বর গ্রামের হামিদ আলী সরকার বাড়ির পাশে একাধিক ফসলি জমি থেকে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে প্রকাশ্যে মাটি তোলেছেন ওই এলাকা একটি প্রভাবশালী সিন্ডিকেট।
জানা গেছে, এই সিন্ডিকেটের সবাই লোক চক্ষুর আড়ালে থাকলেও উরিশ্বর গ্রামের মৃত সিরাজুল ইসলামের ছেলে আবুল কালাম সরকার প্রকাশ্যেই এসব অবৈধ মাটি উত্তোলনের নেতৃত্ব দেন।
বুধবার সকালে সরজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, সবুজ ফসলি জমির মাঠ জুড়ে প্রায় ৯টি ছোট বড় ড্রেজিং করা ক্ষতবিক্ষত গর্ত। এসব গর্তের পার ভেঙ্গে নির্ধারিত জমির বাহিরেও অন্যের জমি ভেঙ্গে পরে গেছে। এসবের মধ্যে গতবছর ড্রেজিং করা একটি গর্তের পানি কমে যাওয়ায় গর্তের চারপাশের পার ও অন্যের জমি ভেঙ্গে প্রতিদিন বিলীন হয়ে যাচ্ছে ।
গর্তে পার ভেঙ্গে পরার কারনে ওই গ্রামের হামিদ আলী সরকার বাড়ির আবু হানিফ সরকার(৩৫), ইউনুস সরকার(৬০), সফিকুল ইসলাম(৭০), মোস্তাফা কামাল(৪৫)'র ফসলি জমি মারাত্মক ভাবে ক্ষতি হচ্ছে।
নাম না প্রকাশের সর্তে পাহাড়পুর ইউনিয়নের অন্তত ছয়জন স্থানীয় বাসিন্দা জানায়, কখনো কৌশলে। কখনো বল প্রয়োগ করে অনেক অসহায় কৃষককে জমি বা মাটি বিক্রিতে বাধ্য করেছেন চক্রটি। বাঁধা দিলে কৃষকদের দেয়া হত হুমকি ধমকি। দেখানো হয় নানা ধরণের ভয়ভীতি। ড্রেজিং করা গর্তে অন্যের জমি ভেঙে পরাসহ বিভিন্ন কারনে ওই চক্রটির বিরুদ্ধে বহুবার গ্রাম্য সালিশ হয়েছে। বর্তমানে এই মাটিকাটা চক্রটি প্রভাবশালী হাওয়ায় মুখ খোলার সাহস পায় না কৃষকরা ও স্থানীয়রা।
ক্ষতিগ্রস্ত ইউনুস সরকারসহ আরও কয়েকজন জানায়, আমাদেরকে বাঁচাবে কে? আবুল কালাম আমাদের ফসলি জমির সাথের জমি কেটে অনেক ক্ষতি করেছেন। কিছু দিন আগে এই ড্রেজারের গর্তে আমার নাতনি পরে গেছিল। আমার ভাতিজা হেলাল তাকে বাঁচিয়েছে। এসব গর্ত এমন ভাবে কাটা হয়েছে ভাতিজা উঠে আসতে অনেক কষ্ট হয়েছে। সে
স্থানীয় ইউপি সদস্য মোরশেদ আলম বলেন, বিগত দিনে কেউ অভিযোগ করেনি। এজন্য এ বিষয়ে কিছু জানা ছিল না। গতকালকে একজন জানিয়েছে আমি দেখে এসেছি।
মুরাদনগর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) তানিয়া আক্তার মুঠোফোনে জানায়, আমরা সবসময়ই ভূমিদস্যতার বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে থাকে। ছবি দেখে মনে হল ওই ফসলি জমির অবস্থা খুবই ভয়াবহ। দ্রুত তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।