বিশেষ প্রতিনিধি।।
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীদের উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার দুপুর ৩টার দিকেকুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের দেবিদ্বার উপজেলার ভিরাল্লা স্টেশন এলাকায় এই ঘটনা ঘটেছে। বুধবার (২২ নভেম্বর) বিকেলে নিশ্চিত করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কামরান হোসেন। তিনি জানান পুলিশ শিক্ষার্থীদের উপর হামলার ঘটনাটি নিয়ে অপরাধীদের আইনের আওতায় আনার জন্য কাজ করছে।
বাসে থাকা কয়েকজন শিক্ষার্থী জানায়, কলেজ থেকে আসার পথে বিকেলে কংশনগর বাজার এলাকায় কলেজ বাসের ড্রাইভারের সাথে এক প্রাইভেট কার ড্রাইভার ও আরোহীদের সাথে তর্ক হয়। এ তর্ক থামিয়ে দেয় কলেজের কয়েকজন ছাত্র। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে কলেজের বাস ভিরাল্লা এলাকায় আসার পরে ওই এলাকার ১০-১২জন যুবককে সাথে নিয়ে বাসে হামলা করে প্রাইভেট কারের ড্রাইভার ও আরোহীরা। এসময় একাধিক শিক্ষার্থীকে মারধর করেন তারা। এ সময় দুইজন শিক্ষার্থীর মোবাইল, মানিব্যাগ হাতিয়ে নিয়ে যায় হামলাকারীরা। হামলার খবর পেয়ে দেবিদ্বার থানার একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে আসলে হামলাকারীরা দ্রুত এলাকা ত্যাগ করে।
বুধবার দুপুরে ভিরাল্লা এলাকায় গিয়ে অন্তত ১৫জন স্থানীয় লোকের সাথে কথা হয়েছে তারা কেউ এই হামলার বিষয়ে কিছু বলতে রাজি হননি। তাদের মধ্যে একজন জানায় আমি ভিরাল্লা স্টেশনে যাওয়ার পথে ভিরাল্লা খান বাড়ির সামনে বাস আটকে গন্ডগোল করতে দেখেছি। রাস্তায় জ্যাম লাগার কারনে আমি সেখানে গিয়ে বাস সাইডে রাখার কথা বলে এই ছেলেগুলোকে বাস থেকে নামিয়ে দেই। তখন আমার অন্যত্র কাজ থাকায় আমি ঘটনাস্থল ত্যাগ করেছি। পরে আর কি হয়েছে আমি জানিনা।
বুধবার সন্ধ্যায় দেবিদ্বার থানার অফিসার ইনচার্জ নয়ন মিয়া জানান, কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের ছাত্রদের গাড়িতে হামলার সময় আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে দ্রুত পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করি। বুধবার( ২২ নভেম্বর)
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীবৃন্দ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। আমরা তদন্ত করছি। দোষীদের আইনের আওতায় আনা হবে।
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড: আবু জাফর খান বুধবার বিকেলে জানন, শিক্ষার্থীদের বাসের সামনে একটি ট্রাক সামনে রেখে বাস আটকিয়ে মঙ্গলবার বিকেলে বাসে উঠে শিক্ষার্থীদের মারধর করে। গতকাল আমি সস্ত্রবাহিনীর দিবসের অনুষ্ঠানে থাকা অবস্থায় শিক্ষর্থীরা আমাকে জানালে আমি কলেজের এই ঘটনাটি কুমিল্লার পুলিশ সুপারকে জানিয়েছি।