মোঃ রেজাউল হক শাকিল।।
কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ায় পুরোদমে শুরু হয়েছে শীতকালীন ফসলের আবাদ। বিস্তীর্ণ কৃষিজমি এখন নানা সবজির সমারোহ। মাঠে ব্যস্ত সময় পার করছেন কিষান-কিষানিরা।
কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে উপজেলায় শীতকালীন শাকসবজির আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় ৩১০ হেক্টর জমি। উপজেলায় সবজি চাষ বেশি হয় মালাপাড়া ইউনিয়নের মালাপাড়া, চন্ডিপুর, অলুয়া, আসাদনগর, রামনগর ও মনোহরপুর এলাকায়। এ ছাড়াও উপজেলার অন্যান্য ইউনিয়নের প্রতিটি গ্রামেও শীতকালীন সবজির আবাদ হয়েছে।
সরেজমিনে উপজেলার মালাপাড়া, দুলালপুর ও সদর ইউনিয়নের শীতকালীন সবজির মাঠ ঘুরে দেখা গেছে, মাঠে মাঠে বেড়ে উঠছে শীতকালীন সবজি। এসব সবজি পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন কিষান-কিষানিরা। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ফুলকপি, বাঁধাকপি, লালশাক, লাউ, মুলা, শিম, ঢেঁড়স, কুমড়া, টমেটো, শসা, মুলা ও বেগুনসহ অন্যসব শীতকালীন সবজির উৎপাদন বেড়েছে।
উপজেলার মনোহরপুর এলাকার কৃষক মকবুল হোসেন, মোমিনুল ইসলাম, আবদুস সামাদ বলেন, ‘সবজি চাষের জন্য খুব বেশি জমির প্রয়োজন হয় না। তুলনামূলকভাবে মূলধনও কম লাগে। পরিশ্রমও অনেক কম। তবে সবজির যত্ন নেওয়াটা গুরুত্বপূর্ণ। কম সময়েই সবজি বিক্রির উপযোগী হয়ে ওঠে। পরিবারের চাহিদা মিটিয়ে সবজি বাজারেও বিক্রি করা যায়। এ ছাড়া চলতি মৌসুমে সবজির দামও বেশ ভালো। সব মিলিয়ে সবজি চাষকেই আমরা লাভজনক মনে করছি।’
উপজেলার দুলালপুর ইউনিয়নের বেজুরা এলাকার কৃষক জাকির হোসেন বলেন, ‘শীতকালীন সবজি আবাদযোগ্য আবহাওয়া থাকায় সবজি বেড়ে উঠছে দ্রুত। উপজেলা কৃষি অফিসের লোকজনের পরামর্শে সবজির পরিচর্যা করছি। আশা করছি, এবার ফলন ভালো হবে। ফলন ভালো হলে লাভবান হব।’
কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মাসুদ রানা বলেন, ‘এ বছর উপজেলায় শীতকালীন সবজির উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩১০ হেক্টর। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে সবজির আবাদ হবে বলে আশা করছি।’