নেকবর হোসেন।।
কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (কুমেক) দুই চিকিৎসক ও নার্স-কর্মচারীদের হাতে যমুনা টেলিভিশনের দুই সাংবাদিক রফিকুল ইসলাম চৌধুরী খোকন ও কামরুল হাসান লাঞ্ছিত হওয়ার ঘটনার সুরাহা হয়েছে। শনিবার দুপুরে কুমেক হাসপাতালের পরিচালকের কক্ষে কুমিল্লা প্রেসক্লাব সভাপতি মো. লুৎফুর রহমানের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দলের সাথে হাসপাতালের পরিচালকের এক বৈঠকে ঘটনাটির সুরাহা হয়। বৈঠকে কুমেক হাসপাতালের পরিচালক ডা. আজিজুর রহমান সিদ্দিকী প্রেসক্লাব নেতৃবৃন্দের নিকট দুঃখ প্রকাশ করেন। এ ঘটনার জন্য দুই জন চিকিৎসকসহ সংশ্লিষ্টরা নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছেন। এখানে ভবিষ্যতে যেন এমন ঘটনা আর না ঘটে এর প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করে কুমেক হাসপাতাল পরিচালক সাংবাদিক নেতৃবৃন্দকে বিষয়টি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখার জন্য অনুরোধ জানান। বৈঠকে সাংবাদিক নেতৃবৃন্দের মধ্যে ছিলেন রফিকুল ইসলাম, নজরুল ইসলাম দুলাল, মীর শাহ আলম, সাদিক মামুন, হুমায়ুন কবির রনি, সেলিম রেজা মুন্সী, দিলীপ মজুমদার,জাহিদুর রহমান, আশিকুর রহমান ও টেলিভিশন জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দ। এসময় লাঞ্ছনার শিকার যমুনা টেলিভিশনের ব্যুরো প্রধান রফিকুল ইসলাম চৌধুরী খোকন ও ভিডিও জার্নালিস্ট কামরুল হাসান উপস্থিত ছিলেন। এর আগে গত বুধবার (১৮ অক্টোবর) যমুনা টেলিভিশনের ওই দুই সাংবাদিক কুমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন গৃহকর্ত্রীর হাতে নির্যাতনের শিকার এক এতিম শিশু গৃহকর্মীর বিষয়ে সংবাদ সংগ্রহে গেলে ‘অনুমতি ছাড়া ভিডিও করা যাবে না’ এমন অজুহাতে আবাসিক চিকিৎসক ডা. আবু জাফর মো. সালেহী ও ডা. আবুল হাসানসহ নার্স-কর্মচারীরা তাদেরকে লাঞ্ছিত করেন। এ ঘটনার প্রতিকার চেয়ে পরদিন কুমেক হাসপাতালের পরিচালকের নিকট লিখিত অভিযোগ দেন যমুনা টেলিভিশনের ব্যুরো প্রধান রফিকুল ইসলাম চৌধুরী খোকন।