স্টাফ রিপোর্টার ।।
বিবাহ বিহীন সম্পর্কের জেরে কুমিল্লায় দুই শিশুকে হত্যার দায়ে ইয়াসমিন আক্তারকে মৃত্যুদণ্ড এবং আরেক নারী মাজেদা বেগমকে যাবজ্জীবন সাজা দিয়েছেন আদালত।
কুমিল্লা জেলা ও দায়রা জজ তৃতীয় আদালতের বিচারক রোজিনা খানম মঙ্গলবার( ৩১ জানুয়ারী) দুপুরে এ রায় দেন।
জেলার মুরাদনগর উপজেলার লাজৈর গ্রামের বাবুল হোসেনের স্ত্রী ইয়াসমিন আক্তার( ২৮)কে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়। একই গ্রামের সেলিম মিয়ার স্ত্রী মাজেদা বেগমকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়। দণ্ডপ্রাপ্তরা সর্ম্পকে চাচি শাশুড়ি এবং ভাতিজা বউ।
মঙ্গলবার( ৩১ জানুয়ারী) বিকেলে কুমিল্লা কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক মুজিবুর রহমান বিষয়টি বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক মুজিবুর রহমান জানান, রায় ঘোষণার সময় দণ্ডপ্রাপ্ত দুই নারী এজলাসে উপস্থিত ছিলেন। বিজ্ঞ বিচারক ১৬ জন স্বাক্ষীর সাক্ষ্য শেষে এ রায় দেন। দণ্ডপ্রাপ্তদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে। রায় শুনে এজলাসেই অজ্ঞান হয়ে পড়েন দণ্ডপ্রাপ্তরা দুই নারী।
রাষ্ট্র পক্ষের আইনজীবী অতিরিক্ত পিপি নুরুল ইসলাম বলেন, ‘২০১৪ সালের ২১ এপ্রিল লাজৈর গ্রামের প্রবাসী বাবুল হোসেনের স্ত্রী ইয়াসমিন আক্তার বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে আসক্ত ছিলেন। এ ঘটনা দেখে ফেলায় প্রথমে ভুট্টাক্ষেতে নিয়ে মো. বিল্লাল হোসেনের ৬ বছর বয়সী ছেলে আরাফাতকে খুন করেন। ঠিক ওই সময় খুনের ঘটনা দেখে ফেলায় কিছুক্ষণ পর শাহ আলমের সাত বছর বয়সী ছেলে জসিমকেও ছুরি দিয়ে জবাই করে হত্যা করে লাশ খালে ডুবিয়ে রাখে।
কুমিল্লা কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক মুজিবুর রহমান জানান, রায় ঘোষণার সময় দণ্ডপ্রাপ্ত দুই নারী এজলাসে উপস্থিত ছিলেন। বিচারক ১৬ জন স্বাক্ষীর সাক্ষ্য শেষে এ রায় দেন। দণ্ডপ্রাপ্তদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে। রায় শুনে এজলাসেই অজ্ঞান হয়ে পড়েন দণ্ডপ্রাপ্তরা।
আসামিপক্ষের আইনজীবী তাইফুর রহমান এবং শাহানা সুলতানা সোমা বলেন, ‘আমরা এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করব।’