মোঃ রেজাউল হক শাকিল।।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুমিল্লা-৫ আসনে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশীরা।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুমিল্লা-৫ আসনে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশীরা।
ঘনিয়ে আসছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। নির্বাচনের সময় যতই ঘনিয়ে আসছে ততই বাড়ছে সম্ভাব্য প্রার্থীদের দৌড়ঝাঁপ। কুমিল্লা-৫ আসনে সঙ্গত কারণে ডজনখানেক প্রার্থী ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের ‘টিকিট’ নৌকা পাওয়ার প্রত্যাশা করেছেন। এর মধ্যে রয়েছেন বর্তমান এমপি, ব্যবসায়ী ও শিল্পপতিসহ দলটির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা। ইতোমধ্যে অনেকেই স্ব স্ব কায়দায় সাধারণ ভোটারদের দোরগোড়ায়, এমনকি দলের শীর্ষ নেতাদের বাসা বা অফিসে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন।
দলীয় সূত্র বলছে, কুমিল্লা-৫ আসনটি বুড়িচং-ব্রাহ্মণপাড়া দুই উপজেলা নিয়ে গঠিত। বরাবরই এ আসনটি আওয়ামী লীগের দখলে। ফলে এই আসনটি আওয়ামী লীগের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আসনটিতে দলীয় মনোনয়ন পেতে অনেকেই রয়েছেন আলোচনায়। এর মধ্যে বুড়িচং উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ওই আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট আবুল হাশেম খান, কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি ও ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ জাহাঙ্গীর খান চৌধুরী, কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও বুড়িচং উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য সাজ্জাদ হোসেন, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের উপকমিটির সম্পাদক ও সোনার বাংলা কলেজের অধ্যক্ষ সেলিম রেজা সৌরভ, সাবেক আইনমন্ত্রী প্রয়াত অ্যাডভোকেট আবদুল মতিন খসরু এমপির সহধর্মিণী ও কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা সেলিমা সোবহান খসরু, সাবেক কর কমিশনার ও বাংলাদেশ ব্যাংকের প্যানেল অ্যাডভোকেট ড. এস এম জাহাঙ্গীর আলম, সাবেক আইনমন্ত্রী প্রয়াত অ্যাডভোকেট আবদুল মতিন খসরুর ছোট ভাই কুমিল্লা বার অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি ও কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য অ্যাডভোকেট আবদুল মমিন ফেরদৌস, কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী যুবলীগের সহসম্পাদক এহেতেশামুল হাসান ভূঁইয়া রুমি, কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক মো. আবদুছ ছালাম বেগ, কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণবিষয়ক সম্পাদক ও ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ মো. আবু জাহের, ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি শাহজালাল মোল্লা, ডি এল এম গ্রুপের চেয়ারম্যান ও বুড়িচং উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য এম এ মতিন এমবিএ, বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও ইকরা ফুটওয়্যার ইন্ডাস্ট্রিজের স্বত্বাধিকারী শিল্পপতি মাহতাব হোসেন, সাবেক ছাত্রনেতা ও শিক্ষানুরাগী মো. আবদুল জলিল।
দুই উপজেলার আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা বলছেন, দলীয় মনোনয়নপত্র বিক্রি ও সংগ্রহ করার সময় আসলে মনোনয়ন বোর্ডের বৈঠক হবে। ওই বৈঠকে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঠিক করবেন কে মনোনয়ন পাবেন। মনোনয়নপ্রত্যাশীরা দৌড়ঝাঁপ করতেই পারেন। সম্ভাব্য প্রার্থীদের মধ্যে অনেকেই যোগ্য। এই আসনের কিংবদন্তি নেতা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য ও বাংলাদেশ সরকারের সাবেক আইনমন্ত্রী প্রয়াত অ্যাডভোকেট আবদুল মতিন খসরু এমপির অনেকেই যোগ্য উত্তরসূরি। প্রধানমন্ত্রী যাকেই নমিনেশন দেবেন তাকে নিয়েই আগামী সংসদ নির্বাচন করব।
আওয়ামী লীগের এক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে কালবেলাকে বলেন, প্রার্থী অনেকেই হতে পারেন। কিন্তু মনোনয়ন দেবে দলের মনোনয়ন বোর্ড এবং দলীয় সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শুনেছি, কোনো কোনো নেতা দলের মনোনয়ন বোর্ডের সদস্যদের বাসা বা অফিসে ধরনা দিচ্ছেন। কিন্তু তাতে কোনো লাভ হবে না। তবে কেউ কেউ নিজের প্রোফাইল ভারি করতেও এই আসনে প্রার্থী হতে চান। তবে নেত্রী শেখ হাসিনা যাকে ভালো মনে করবেন, তাকে মনোনয়ন দেবেন। আমরা দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে না। আমরা শেখ হাসিনার দেওয়া যোগ্য লোকটিকে নির্বাচিত করার জন্য মাঠে কাজ করব।