নেকবর হোসেন:
বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে কুমিল্লার ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নবাব ফয়জুন্নেছা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ১৫০ বছর পূর্তি (সার্ধশত বার্ষিকী উৎসব) পালিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষ্যে সকালে টাউন হল মাঠ থেকে বিশাল আনন্দ র্যালি বের হয়। র্যালির উদ্বোধন করেন কুমিল্লা সদর আসনের এমপি ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি হাজী আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার। এসময় সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য অ্যারোমা দত্ত, সংরক্ষিত নারী আসনের এমপি ও জাতীয় সংসদের প্যানেল স্পীকার আঞ্জুম সুলতানা সীমা, স্কুলের প্রধান শিক্ষক রাশেদা আক্তার, নবাব ফয়জুন্নেছা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ১৫০ বছর পূর্তি উৎসবের আয়োজক পর্ষদের যুগ্ম আহবায়ক দিলনাশিন মহসিন ও আয়োজক পর্ষদের সদস সচিব ফাহমিদা জেবিনসহ স্কুলের বর্তমান ও প্রাক্তন শিক্ষার্থী এবং আমন্ত্রিত অতিথিগণ উপস্থিত ছিলেন।
নবাব ফয়জুন্নেছা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ১৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে সকাল ৯টায় টাউন হল মাঠ থেকে আনন্দ র্যালি বের হয়ে স্কুল প্রাঙ্গণে গিয়ে শেষ হয়। রংবেরংয়ের সাজে সজ্জিত হয়ে স্কুলের বর্তমান ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা র্যালিতে অংশগ্রহণ করেন। পরে সেখানে আলোচনাসভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। দিবসটি ঘিরে উৎসবের উপলক্ষ তৈরি হয় স্কুল প্রাঙ্গণে।
সার্ধশত বার্ষিকী উৎসবে অংশ নিয়ে স্কুলের ’৬৬ ব্যাচের শিক্ষার্থী ও সংরক্ষিত নারী আসনের এমপি অ্যারোমা দত্ত বলেন, কী যে আনন্দ হচ্ছে তা ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না। নবীন-প্রবীণের মিলন মেলায় এক আনন্দঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে।ফয়জুন্নেছা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ১৫০ বছর পূর্তিতে বর্ণাঢ্য উৎসব আয়োজক পর্ষদের যুগ্ম আহবায়ক দিলনাশিন মহসিন বলেন, আমাদের প্রায় ৬ মাসেরও বেশি সময়ের প্রচেষ্টার ফল আজকের এই সফল আয়োজন। এ আয়োজনের দেশের নানা প্রান্তে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা স্কুলের প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা অংশ নিয়েছেন, দেখে ভালো লাগছে। আমাদের পরিশ্রম সার্থক হয়েছে।
স্কুলের প্রাক্তন শিক্ষার্থী এবং কুমিল্লা সরকারি কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সৈয়দা বিলকিস আরা বেগম বলেন, ফয়জুন্নেছা স্কুলের এই আয়োজনে এসে নবীন-প্রবীনের মিলন মেলা দেখে খুব ভালো লাগছে। স্কুল জীবনের স্মৃতি মনে পড়ছে। আমরা সবাই যেনো শৈশবে ফিরে গেছি।
স্কুলের প্রাক্তন শিক্ষার্থী এবং কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের শিক্ষক জুবায়দা নূর খান বলেন, এই আয়োজনে অংশ নিতে পারার আনন্দ এক কথায় অসাধারণ।