শফিউল আলম রাজীব:
কুমিল্লা দেবীদ্বারে ইউপি চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে সংখ্যালঘুর বাড়িতে হামলা ও মারধরের ঘটনায় অভিযুক্তরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। ঘটনার ভিডিও ভাইরাল ও থানায় অভিযোগের ৩দিন পার হলেও গ্রেফতার হয়নি কেউ। উল্টো সংবাদ সম্মেলন করে প্রকাশ্যে হামলার স্বীকার প্রবীর কুমার সাহা'কে একঘরে করে রাখার ঘোষনা দিচ্ছেন হামলায় জড়িতরা। নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন নির্যাতিত পরিবার।
বুধবার বিকেলে বেগমাবাদ গ্রামবাসী আয়োজিত ব্যানারে এক সংবাদ সম্মেলনে অভিযুক্ত উপজেলা আ'লীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক সুজিত পোদ্দার এসব কথা বলেন, তখন তিনি সাংবাদিকদেরও জাফরগন্জ ইউনিয়নে অবাঞ্চিত ঘোষণা করেন। এসময় অভিযুক্ত আপন রায়সহ ৬নং ওয়ার্ড মেম্বার ও এলাকার লোকজন উপস্থিত ছিলেন।
হামলার স্বীকার প্রবীর কুমার সাহা জানান, সোমবার সকাল ১১ টার দিকে চেয়ারম্যান কতৃক আমার ওপর হামলা ও সীমানা প্রাচীর ভেঙে ফেলার ঘটনায় মঙ্গলবার দুপুরে চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীগ নেতাসহ ঘটনায় জড়িত ৬ জনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগপত্র দাখিল করা হলেও এখনো কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। আমাকে হুমকি ধামকি দেওয়া হচ্ছে, সংবাদ সম্মেলন করে আমার পরিবারকে একঘরে রাখার ঘোষনা দিচ্ছে। আমি এখন নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছি।
উল্লেখ্য, জাফরগঞ্জ ইউনিয়নের বেগমাবাদ গ্রামের ধীরেন্দ্র সাহার পুত্র প্রবীর সাহার বাড়ির সাথে ক্রয়কৃত ২ শতাংশ জমি বাড়ির সাথে মিলিয়ে টিনের সীমানা ভেঙ্গে পাকা প্রাচীর নির্মাণ করতে গেলে, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান জাহিদুল আলম নিজেই ওই বাড়িতে গিয়ে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ ও সীমানা প্রাচীর নির্মাণ শ্রমিকদের বাঁধা, নির্মাণ সামগ্রী ভাংচুর ও ফেলে দেয়া এবং প্রবীর সাহার উপর হামলা করেন। ওই ঘটনায় মঙ্গলবার দুপুরে হামলার শিকার প্রবীর কুমার সাহা বাদী হয়ে উপজেলার জাফরগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহিদুল আলম (৩২), উপজেলা আওয়ামী লীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক সুজিত পোদ্দার(৫৫) ও আপন রায় (৫০) সহ অজ্ঞাত আরো ৩ জনকে আসামী করে ওই অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
এবিষয়ে দেবীদ্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কমল কৃষ্ণ ধর বলেন, প্রবীর কুমার সাহার লিখিত অভিযোগ তদন্ত করে দেখছি এবং সংবাদ সম্মেলনে একঘরে করে রাখার ঘোষনার বিষয়টি অবগত নই। তবে তদন্ত করে সত্যতা পেলে ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।