নেকবর হোসেন:
আলেমদের কারাগারে বন্দি রেখে এদেশে কোন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে না মন্তব্য করে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ বলেছেন, আজকে চোর, ডাকাত ও দুর্নীতিবাজরা মুক্তি পেলেও সংগঠনের মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হকসহ আলেমরা মুক্তি পাচ্ছেন না। আলেমদের মুক্তি না দেওয়ায় দেশের আপামর ধর্মপ্রাণ মুসলিম সমাজ উদ্বিগ্ন। মাওলানা মামুনুল হক সহ বন্দি আলেমদের দ্রুত মুক্তি না দিলে আলেম সমাজ কঠোর আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবে।
সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, ক্ষমতাসীন দলের মন্ত্রী এমপিরা গলাবাজি বন্ধ করুন। গলাবাজি করে ক্ষমতায় বেশি দিন থাকা যায় না। দেশের মানুষ তাদের ভোটের অধিকার ফিরে পেতে চায়। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে আগামী জাতীয় নির্বাচন দেখতে চায়। আজকে দেশের মানুষকে উন্নয়নের গল্প শুনানো হয়। কিন্তু নিত্যপণ্যের লাগামহীন দামে দেশের নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের মানুষগুলোর জীবন দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে। এই মানুষগুলোর বোবাকান্নার বাস্তব গল্প সরকারের কানে পৌঁছে না। সরকার বাজার ব্যবস্থাপনা ও জিনিসপত্রের দাম নিয়ন্ত্রনে সম্পূর্ণ ব্যর্থ।
বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে কুমিল্লা টাউন হল মিলনায়তনে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের উদ্যোগে আয়োজিত জেলা সমাবেশে বক্তারা এসব কথা বলেন।
নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন, মাওলানা মামুনুল হকসহ কারাবন্দী সকল আলেমের মুক্তি ও দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি রোধের তিন দফা দাবিতে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে প্রধান মেহমানের বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের নায়েবে আমির মাওলানা খোরশেদ আলম কাসেমী। প্রধান আলোচক ছিলেন দলের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আতাউল্লাহ আমীন। কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, মাওলানা ফয়সাল আহমদ, মুফতি শামসুল ইসলাম জিলানী, নূর মোহাম্মদ আজিজী।
বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস কুমিল্লা পূর্ব জেলার সভাপতি হাফেজ মাওলানা অলিউল্লাহর সভাপতিত্বে এবং মাওলানা জামিল আশরাফী ও মুফতি ইমাম হোসেনের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন মনিরুল ইসলাম কাসেমী, মাওলানা সোলায়মান, মাওলানা সালমান বিন মনিরুজ্জামান, মাওলানা মুফতি আবুল বাশার, মাওলানা আমান উল্লাহ, মুফতি নাঈমুল ইসলাম, হাফেজ আমান উল্লাহ মুন্সি, মাওলানা শাহজালাল, মুফতি মোজাম্মেল, মাওলানা মাহমুদুল হাসান জিহাদী, মাওলানা জানে আলম প্রমুখ।