মো: মোশাররফ হাসন মনির, মুরাদনগর (কুমিল্লা) সংবাদদাতাঃ
কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানাধীন কুরুন্ডী গ্রামের জালাল ভূইয়া (৪৫) নামর এক ব্যবসায়ীক কুপিয়ে হত্যার ১২ দিন পরও এই ঘটনায় হওয়া মামলার কান আসামিদের গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। আসামি গ্রেফতার না হওয়ার প্রতিবাদে মঙ্গলবার দুপুরে মানববন্ধন করেছেন এলাকাবাসী।
ব্যবসায়ী জালাল ভূইয়া কুরুন্ডী গ্রামের মৃত জুলু মিয়ার ছেলে। ১৪ জুলাই কুরুন্ডী গ্রামের নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ক্রিকেট খেলাকে কেন্দ্র করে সন্ত্রাসী হামলার শিকার হন জালাল ভূইয়া। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হামলার ৮ দিন পর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যু বরণ করেন তিনি।
এলাকাবাসীর উদ্যোগে মঙ্গলবার দুপুর ২ টার দিক কুরুন্ডী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যাওয়ার তিন রাস্তার মোড়ে ঘণ্টাব্যাপী ওই মানববন্ধন করেন। এ সময় বক্তব্য দেন, মুক্তিযোদ্ধা শাহজাহান, ইউপি সদস্য সবুজ ভূইয়া, মোহন ভূইয়া, আক্কাস ভূইয়া, আলমগীর হাসান, রাফিয়া খাতুন, তানজিনা খাতুন প্রমুখ।
এ সময় বক্তারা ঘটনার ১২ দিন পরও মামলার কোনো আসামি গ্রেফতার না হওয়ায় এবং ব্যবসায়ী জালাল মৃত্যুর আগে ভিডিও ফুটেজে বলে যাওয়া অভিযুক্তদর নাম মামলায় না দেয়ায় তীব্র নিন্দা ও উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তারা আরো বলেন বর্তমানে ঐসব হামলাকারি সন্ত্রাসী নুরুল ইসলাম, শিশু মিয়া, ইউনুস, সাইফুল, আলআমিন, সজীব, হক মিয়া, সুজন, সুমন, কাজল, ইউসুফ, রুপ মিয়া, শিবির মিয়া ও তাদের পরিবারের লোকজন বিভিন্ন ভাবে হুমকি ধমকি দিচ্ছেন, টাকা দিয়ে এইসব মামলা খেয়ে ফেলবো ও পরে তোদেরকে দেখে নিবো। তাই এখন জালালের পরিবারের লোকজনসহ আতঙ্কে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে গ্রামবাসী। আমরা এদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই এবং এই গ্রামে প্রশাসনের সু-দৃষ্টি কামনা করছি।
বাঙ্গরা বাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: রিয়াজ উদ্দিন চৌধুরী বলেন, এ ঘটনায় জালাল ভূইয়ার ভাই জহিরুল ইসলাম বাদী হয়ে ৯ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা আরো ৪/৫ জনকে অভিযুক্ত করে গত ১৬ জুলাই শুক্রবার রাতে একটি মামলা রুজু করেছেন। বর্তমানে ওই মামলায় অভিযুক্ত ৫জন আদালত থেকে জামিনে আসে। বাকীরা পলাতক তাদের গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত রয়েছে। জালাল ভূইয়া মারা যাওয়ার বিষয়ে আদালতকে অবহিত করা হবে। আদালত মন করলে আসামীদের জামিন বাতিল করতে পারে। তবে নিরপরাধ কোন ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হবে না।