শফিউল আলম রাজীব :
বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনা ও কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে কুমিল্লার দেবীদ্বার পৌরসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলেও নির্বাচন পরবর্তী সময়ে পৌরসভার হামলাবাড়ি, ভূষনা ও বারেরা এলাকায় সহিংসতার খবর পাওয়া গেছে।
ভূষনায় মোবাইল ফোন প্রতীকের স্বতন্ত্র মেয়রপ্রার্থী সাংবাদিক এবিএম আতিকুর রহমান বাশারের বাড়িতে দুষ্কৃতকারীরা দু'দফায় হামলা চালায় বলে জানা গেছে। তাছাড়া পৌরসভার হামলাবাড়ি এলাকায় আতশবাজি নিয়ে অপর একটি সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে।
তবে পৌরসভার ২নং ওয়ার্ড বারেরা এলাকায় বিজয়ী প্রার্থী মোঃ আবু সাঈদ ও পরাজিত প্রার্থী আজহারুল ইসলাম মজনুর সমর্থকদের মধ্যে বড় ধরনের সহিংসতার ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনায় মনজুর পিতা মোঃ মনিরুল হক বাদি হয়ে মঙ্গলবার সকালে মামলা দায়ের করলে তারই প্রেক্ষিতে ৭জনকে আটক করে মঙ্গলবার দুপুরে কোর্ট হাজতে প্রেরণ করে থানা পুলিশ।
সোমবার (১৭ জুলাই) রাত ৯ টার দিকে ভোট গণনা শেষে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মঞ্জুরুল আলম ফলাফল ঘোষণা করেন। ফলাফলে পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ড থেকে বিজয়ী হন মাওলানা আবু সাঈদ। ফলাফলের পর সাঈদের কর্মীরা একই ওয়ার্ডের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আজহারুল ইসলাম মজনু মিয়ার বাড়িতে আতর্কিত হামলা চালিয়ে সিসি ক্যামেরা, বাড়িঘর ভাংচুরসহ মজনুর পরিবার ও আশে পাশের কয়েক পরিবারের লোকজনকে বেধরক মারধর করেন। এতে ৯ মাসের অন্তঃসত্ত্বা নারী শিশু সহ প্রায় ২০জন আহত হয়েছেন।
ঘটনায় আহতরা হলেন, প্রার্থী আজহারুল ইসলাম মজনু(৪২), জহির(৪৫), হানিফ(৪০), ফারুক(৪০), সাত্তার(১২), জামশেদ(৩৫), বুলবুলি বেগম(৬৫), এরশাদ(৩৫), রেহানার(৩০), সুমী(২৭), সোনিয়া (২৮), তানিয়া(২৫), সাজু বেগম(৪৪)সহ আরো অনেকে। সকলে পৌরসভার বারেরা এলাকার বাসিন্দা।
আহতদের মধ্যে বেশিরভাগ রুগীকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেছেন বলে জানিয়েছেন কর্তব্যরত চিকিৎসক রবিউল হাসান।
থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি কমল কৃষ্ণ ধর জানান, বিজয়ী প্রার্থী সাঈদের সমর্থক ও পরাজিত প্রার্থী মজনুর সমর্থকদের মধ্য কথা কাটাকাটি নিয়ে বাড়িঘর ভাংচুর ও মারামারির ঘটনাটি ঘটে। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। ৭জনকে আটক করে কোর্ট হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।