নেকবর হোসেন :
কুমিল্লায় স্ত্রী নাছিমা আক্তারকে শ্বাসরোধ করে হত্যা দায়ে স্বামী মেহেদী হাসান ওরফে জাবেদকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন কুমিল্লার আদালত। গতকাল ১৭ জুলাই (সোমবার) দুপুরে কুমিল্লার বিজ্ঞ সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোঃ হেলাল উদ্দিন এ রায় দেন। মৃত্যু দণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি মেহেদী হাসান জাবেদ কুমিল্লার বরুড়া উপজেলার আগানগর গ্রামের মৃত আব্দুস সাত্তারের ছেলে।
মামলার বিবরণে জানাযায়- ২০১৯ সালের ২১ জানুয়ারি হত্যাকাণ্ডের শিকার হন নাছিমা আক্তার। এদিন বিকেল স্কুল থেকে ফিরে তাদের পুত্র নাইমুর রহমান অনিক বাসায় গেইটের তালাবন্ধ দেখে অতিরিক্ত চাবি নিয়ে ভেতরে প্রবেশ করে দেখতে পায় তার মা নাছিমা আক্তার কম্বল মোড়ানো অবস্থায় আছে। কম্বল উঠিয়ে দেখে সমস্ত শরীর শক্ত এবং গলায় কালচে দাগ। এদিন সকাল থেকে বিকালের মধ্যে কোনো একসময় আসামিরা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে শ্বাসরুদ্ধ করে নাছিমা আক্তারকে হত্যা করে এবং আলমারি থেকে স্বর্ণালংকার ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ তার ছেলে তৌকি ইসলামকে (২) নিয়ে পালিয়ে যায়। এ ব্যাপারে নিহতের পিতা কুমিল্লা সদর দক্ষিণ মডেল থানাধীন মগের কলমিয়া গ্রামের মৃত হাজী আলী আহাম্মদের ছেলে মোঃ আলী হোসেন (৬৫) বাদী হয়ে বরুড়া উপজেলার আগানগর গ্রামের আব্দুস সাত্তারের ছেলে মেহেদী হাছান প্রঃ জাবেদ (৩৫) সহ অজ্ঞাতনামা আসামি করে সদর দক্ষিণ মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মোঃ আলমগীর হোসেন ও মোঃ আব্দুল হক আসামির বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণিতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মোঃ আব্দুল হক ২০১৯ সালের ২১ সেপ্টেম্বর আসামি মেহেদী হাসান জাবেদের বিরুদ্ধে বিজ্ঞ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন (নং-৪৪৫)। পরবর্তীতে মামলাটি বিচারের জন্য আসলে ২০২২ সালের ৬ জুন আসামির বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট ধারায় চার্জ গঠন করেন। এর মামলার ১২জন সাক্ষীর মধ্যে ৮জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে যুক্তিতর্ক শুনানির পর পলাতক আসামি মেহেদী হাসান প্রঃ জাবেদ এর বিরুদ্ধে দণ্ড বিধির ৩০২ ধারার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাঁকে মৃত্যুদণ্ড এবং দশ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করেন বিজ্ঞ আদালত।
এ রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী কুমিল্লা জেলা পিপি এডভোকেট মোঃ জহিরুল ইসলাম সেলিম বলেন, এ রায়ে রাষ্ট্রপক্ষ ও এজাহারকারী খুশি এবং স্টেটট ডিফেন্স ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী মোঃ আতিকুল ইসলাম।