নেকবর হোসেন :
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে প্রবাসীর স্ত্রী ও ছেলেকে খুনের ঘটনায় দুজনকে আটক করা হয়েছে। একটি কালো টুপির সূত্র ধরেই অপরাধীকে শনাক্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
মঙ্গলবার গভীর রাতে পৗরসভার পাঁচড়া ব্যাপারী বাড়িতে এ খুনের ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন নিপা আক্তার (২৭) ও তার আট বছর বয়সী ছেলে আলী আহসান মুজাহিদ। নিপা আক্তারের স্বামী আনোয়ার হোসেন দুবাইপ্রবাসী।
এ ঘটনায় পুলিশ নিহতের ভাসুরের দুই ছেলে মঈনুল হাসান শুভ (২২) ও আবদুল্লাহ আল শাহেদকে (১৮) আটক করেছে।
নিহত নিপার বাবা জালাল আহমেদ বলেন, ‘আনোয়ারের সঙ্গে তার ভাই মীর হোসেনের সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ রয়েছে। পূর্ববিরোধের জের ধরে মীর হোসেনের ছেলে আবদুল্লাহ আল শাহেদ এ হত্যাকাণ্ড ঘটায়।’
তিনি আরও বলেন, ‘মঙ্গলবার রাত ৯টায় নিপা তার ছেলে মুজাহিদকে নিয়ে পার্শ্ববর্তী মামাশ্বশুর আজিজুল ইসলামের বাড়িতে দাওয়াত খেতে যায়। ধারণা করা হচ্ছে, এ সুযোগে হত্যাকারী ঘরে ঢুকে নির্মাণাধীন টয়লেটে লুকিয়ে ছিল। রাতে ঘরে ফিরে নিপা ছেলেকে নিয়ে ঘুমিয়ে পড়লে আনুমানিক আড়াইটার দিকে কাঠের লাকড়ি দিয়ে পিটিয়ে তাদের গুরুতর জখম করা হয়। এ সময় চিৎকার শুনে লোকজন এসে ওই মা-ছেলেকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে নিপাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। আশঙ্কাজনক অবস্থায় শিশু মুজাহিদকে ঢাকা নেয়ার পথে সেও মারা যায়। খবর পেয়ে পুলিশ নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নেয়।’
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় অপরাধী শাহেদ পালিয়ে গেলেও পরে পুলিশ তাকে আটক করতে সক্ষম হয়েছে। যারা খুন হয়েছেন তাদের বাড়ির একটি কক্ষ থেকে একটি কালো টুপি উদ্ধার করা হয়। ওই টুপির সূত্র ধরেই অপরাধীকে শনাক্ত করা হয়।’
পুলিশের এ কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘অপরাধী কোথায় কীভাবে এ ঘটনা ঘটিয়েছে তা সে নিজে স্বীকার করেছে। সে একটি বড় কাঠের টুকরা দিয়ে ঘুমন্ত অবস্থায় ওই মা-ছেলের মাথা ও মুখে আঘাত করে। জোরে আঘাত করায় ঘটনাস্থলেই মারা যান নিপা। পরে তার ছেলেও মারা যায়।’
তিনি জানান, এ ঘটনায় আনোয়ার হোসেনের ভাই মীর হোসেনের দুই ছেলে মঈনুল হাসান শুভ (২২) ও আবদুল্লাহ শাহেদকে (১৮) আটক করা হয়েছে। বিস্তারিত পরে জানানো হবে।