নেকবর হোসেন :
কুমিল্লার দাউদকান্দিতে হুইলচেয়ারে চলাফেরা করা ৬৫ বছর বয়সী এক বৃদ্ধকে কোদাল দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৩ জুন) সকাল ৭ টার দিকে উপজেলার টামটা এলাকায় এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তির নাম আমির হোসেন। হত্যায় অভিযুক্ত এ বি এম ওসমান গনি ওরফে নাসিম ডাক্তার তার আপন ফুফাতো ভাই বলে জানা গেছে। তারা উভয়েই টামটা গ্রামের বাসিন্দা।
পুলিশ বলছে, জমিসংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এদিকে মর্মান্তিক এ হত্যাকাণ্ডের পরপরই সিসি ক্যামেরার একটি ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এতে দেখা যায়, গ্রামের রাস্তায় একা একা হুইলচেয়ারে করে যাচ্ছেন আমির হোসেন। এ সময় তাকে দেখে নাসিম ডাক্তার বাড়ি থেকে কোদাল নিয়ে এসে পরপর বেশ কয়েকটি আঘাত করেন। এতে হুইল চেয়ার থেকে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে কাতরাতে থাকেন আমির হোসেন। এরপর তাকে আরও কয়েকটি আঘাত করা হয়। একটু পরে নিস্তেজ হয়ে পড়েন বৃদ্ধ আমির হোসেন।
দাউদকান্দি মডেল থানার ওসি মুহাম্মদ আলমগীর ভূঁঞা জানান, টামটা গ্রামের এবিএম ওসমান গনি ওরফে নাসিম ডাক্তার এবং আমির হোসেনের মধ্যে দীর্ঘদিন যাবত জমি জমা সংক্রান্তে বিরোধ চলে আসছিল। সম্পর্কে তারা আপন মামাতো-ফুপাতো ভাই। এ বিরোধের জের ধরে মঙ্গলবার সকালে আমির হোসেন বাড়ির সামনে পাকা রাস্তার উপর গেলে তাকে একা পেয়ে নাসিম ডাক্তার (৫৫) অতর্কিতভাবে হামলা করলে আমির হোসেন গুরুতর আহত হন। সংবাদ পেয়ে আমির হোসেনের লোকজন তাকে উদ্ধার করতে গেলে উভয় পক্ষের মধ্যে মারামারি হয়।
পরে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে গৌরীপুর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আমির হোসেনকে মৃত ঘোষনা করেন। এছাড়াও সংঘর্ষে আহত হাবিবুর রহমানকে (৩০) উন্নত চিকিৎসার জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ এবং শরীফ (২৫) ও মহিউদ্দিনকে (২২) প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করা হয়। ওসি মুহাম্মদ আলমগীর ভূঁঞা বলেন, হত্যা ও সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে প্রধান অভিযুক্ত ওসমান গনিসহ ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে। আমির হোসেনের মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে টামটা গ্রামে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।