শামীম রায়হান॥
কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার গৌরীপুর সুবল আফতাব উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী হাবিবা আক্তার(১২)তীব্র তাপদাহে শ্রেণি কক্ষে অসুস্থ্য হয়ে পড়লে হাসপাতালে নেওয়া পর তার মৃত্যু হয় বলে জানা গেছে৷
হাবিবা আক্তার তিতাস উপজেলার চান্দ-নাগেরচর গ্রামের জিয়াউল হক ও চান্দ-নাগেরচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মাকসুদা আক্তারের মেয়ে৷
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ সেলিম জানান,মঙ্গলবার(৬ মে) দুপুরে উপজেলার গৌরীপুর সুবল আফতাব উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী হাবিবা আক্তার ক্লাস চলাকালীন সময় হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে তার সহপাঠীরা তাকে কোলে করে অফিস রুমে নিয়ে আসলে দু'জন শিক্ষক দিয়ে তাৎক্ষনিক ভাবে স্থানীয় দাউদকান্দি উপজেলার(গৌরীপুর)স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে গুরুত্বতর অসুস্থ অবস্থায় তাকে ঢাকায় প্রেরন করলে পথেই তার মৃত্যু হয়৷
এদিকে দাউদকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক ডাঃ মোঃ ওয়াহিদুজ্জামান বলেন,হাবিবা আক্তার নামের স্কুল ছাত্রীকে অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসে। কি কারনে অসুস্থ, অতিরিক্ত গরমে নাকি ফুডপয়জিং সেটা সঠিক ভাবে বলা যাচ্ছে না। এখানে আনার পর মুখ দিয়ে লালা ও ফেনা জাতীয় কিছু বের হচ্ছিল । পরে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে দ্রুত ঢাকায় পাঠানো হলে নেয়ার পথেই সে মারা যায়।
গৌরীপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ(ওসি)মোঃ আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, হাসপাতাল থেকে বিষয়টি শোনার পর বিদ্যালয়ে আমার অফিসার পাঠিয়েছি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো.মহিনুল হাসান জানান,গৌরীপুর সুবল আফতাব উচ্চ বিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী মারা যাওয়ার বিষয়টি আমি শুনে তাৎক্ষনিক মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে এ বিষয়ে তদন্ত করে দ্রুত একটি প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য বলেছি৷
অন্যদিকে কুমিল্লা নগরীর বিভিন্নস্থানে কিন্ডারগার্টেন স্কুলের ছোট ছোট কোমলমতী শিক্ষার্থীদের গাদাগাদি করে একসাথে বসিয়ে ক্লাস নেয়ার কারণে অভিবাকদের মাঝে ক্ষোভ দেখা যাচ্ছে। জিএসএম মামনুন নামের এক অভিবাবক বলেন, আমার মেয়ে মেহবুবা সাবেরী শায়দার বয়স ৫ বছর। সে নগরীর কাটাবিল এলাকার একটি কিন্ডারগার্টেন এ পড়ে। তাদের স্কুল বন্ধ না দেয়ায় তাকে স্কুলে যেতে হচ্ছে। এত গরমে স্কুল ড্রেস পড়ে স্কুলে যাওয়ার কারণে আমরা খুবই চিন্তিত।
কুমিল্লা আবহাওয়া অধিদপ্তরের মো. ইসমাইল জানান,মঙ্গলবার (৬ জুন) কুমিল্লার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রোদের তীব্রভাবে কারণে গরমের প্রভাব ছিল বেশি।