নেকবর হোসেন :
কুমিল্লায় যুবলীগ নেতা জামাল হোসেনকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। রোববার বেলা সাড়ে ১১টায় এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান র্যাব- ১১ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল তানভীর মোহাম্মদ পাশা।
গ্রেপ্তাররা হলেন মামলার ৩ নম্বর আসামি ইসমাইল হোসেন (৩৬), ৪ নম্বর সোহেল শিকদার (৪৬) ও ৭ নম্বর মো. শাহ আলম (৩৮)।
তবে যাদের গুলিতে যুবলীগ নেতা জামাল নিহত হয়েছেন, তারা বিদেশে পালিয়ে গেছেন।
তানভীর মোহাম্মদ কর্মকর্তা পাশা জানান, এজাহারে যাদের নাম রয়েছে, তাদের মধ্যে পাঁচজন বিদেশে পলাতক রয়েছেন। গ্রেপ্তাররা কেউ ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ততার কথা শিকার করে বক্তব্য দেননি। যারা গুলি করেছেন, তাদের শনাক্ত করা হয়েছে। তবে তদন্তের স্বার্থে তাদের নাম বলা যাচ্ছে না। বোরকা উদ্ধার করা হয়েছে। তারা স্থানীয় একটি মাদ্রাসা থেকে বোরকা পরে বের হন।
গত ৩০ এপ্রিল রাত ৮টার দিকে কুমিল্লার দাউদকান্দির গৌরিপুর বাজারে হত্যা করা হয় জেলার তিতাস উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক জামাল হোসেনকে। তিনজন বোরকা পরিহিত ব্যক্তি তাকে গুলি করে হত্যা করেন। জামাল হোসেন তিতাস উপজেলার জিয়ারকান্দি ইউনিয়নের নোয়াগাঁও গ্রামের ফজলুল হকের ছেলে। তিতাস উপজেলা বাড়ি হলেও তিনি ব্যবসা করতেন পাশের দাউদকান্দি উপজেলার গৌরিপুর বাজারে। বাজারের পাশে ভাড়া বাসায় থাকতেন তিনি। এর আগেও তিতাস উপজেলায় রাজনৈতিক ও আধিপত্য বিস্তার নিয়ে তিতাস এবং দাউদকান্দির গৌরিপুর বাজারে পৃথক হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। স্থানীয়দের ধারণা, সবগুলো হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় যোগসূত্র রয়েছে।