শফিউল আলম রাজীব, দেবীদ্বার:
ঈদ পরবর্তী সময়ে যখন বাজার স্বাভাবিক অবস্থায় থাকার কথা ঠিক তখনি হু হু করে লাগামহীন ভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য। ফলে সাধারণ মানুষের সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। নেই কোনো তদারকি, এমন অবস্থা থেকে উত্তরণে নেয়া হচ্ছে না কোনো কার্যকরী ব্যাবস্থা। সপ্তাহের ব্যাবধানে চিনি, পেয়াজ-রসুন, আদা'র দাম যে পরিমানে বৃদ্ধি পেয়েছে তা শুনে ক্রেতাদের চোখ যেনো আকাশে উঠছে !
শনিবার সন্ধ্যায় কুমিল্লার দেবীদ্বার নিউমার্কেট বাজার ঘুরে দেখা যায় কয়েকদিনের ব্যাবধানে প্রতি কেজি চিনি ৪০-৫০টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১৩০-১৪০টাকায়, পেয়াজ ২০-২৫ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৫০-৫৫ টাকায়, রসুন ৫০-৬০টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১৬০-১৭০টাকায়, আদা ৮০-১০০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১৯০-২০০টাকায়। এসব পন্যের দাম নির্ধারণ হচ্ছে মুখে মুখেই। নিয়ম থাকলেও কোনো দোকানেই দেখা মিলেনি পন্যে মূল্যের তালিকা। এছাড়াও মাছ- মাংস থেকে শুরু করে নিত্য প্রয়োজনীয় অন্যান্য পন্যের দামও খুব একটা স্বাভাবিক নয়।
এসময় কথা হয় ক্রেতা ও বিক্রেতাদের সাথে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণের পথে খুঁজছে সকলেই। ক্রেতারা বলছে, স্বল্প আয়ে সংসারের খরচ যোগানো কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। যেভাবে নিত্য পণ্যের দাম বাড়ছে আগামী দিনগুলোতে মনেহয় না খেয়েই থাকতে হবে। ব্যাবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে তাদের মনগরা দাম নিয়ে নিচ্ছেন। নেই কোনো মূল্য তালিকা। দাম নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনের পক্ষ থেকে বাজার মনিটরিংয়ের নেই কার্যকরী ব্যাবস্থা, নিয়মিত বাজার মনিটরিং করা হলে হয়তো তারা এভাবে মনগড়া মূল্যবৃদ্ধির সুযোগ পেতোনা।
বিক্রেতারা জানান, আমরা ক্ষুদ্র ব্যাবসায়ী আমাদের কিবা করার আছে। আমরা যে দামে ক্রয় করি সামান্য লাভেই তা বিক্রি করি, বড় বড় ব্যাবসায়িরা যদি সিন্ডিকেট করে আমাদের তো কিছু করার নেই। ডিলাররা চিনি সাপ্লাই কম দেয়ায় বেশি দাম দিয়ে কিনতে হচ্ছে আমাদের, তাই বিক্রি হচ্ছে একটু বেশি দামে। ভারত থেকে পেয়াজ আমদানি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় পেঁয়াজের দাম আগের স্বাভাবিকের তুলনায় কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে।
দেবীদ্বার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিগার সুলতানা বলেন, জনস্বার্থে আমাদের বাজার মনিটরিং কার্যক্রম অব্যাহত আছে। কোথাও কোনো অনিয়ময়ের অভিযোগ পাওয়া গেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।