শফিউল আলম রাজীব, দেবীদ্বার :
কুমিল্লা দেবীদ্বারে ইফতার বিতরনকে কেন্দ্র করে দু'পক্ষের সংঘর্ষে আহত অন্তত ১৫ জন। ঘটনায় গুরুতর আহত ৪ জনকে কুমেক হাসপাতালে প্রেরণ। সোমবার সন্ধ্যায় উপজেলার দক্ষিণ ভিংলাবাড়ি বায়তুল আমান জামে মসজিদে ইফতার বিতরণকে কেন্দ্র করে ওই ঘটনাটি ঘটে।
স্থানীয়রা জানায়, মসজিদে ইফতার বিতরনের এক পর্যায়ে ভিংলাবাড়ি গ্রামের বাচ্চু মিয়ার ছেলে দুলাল মিয়া এবং একই গ্রামের আলম মিয়ার ছেলে মোঃ বাবুর মধ্যে কথা কাটাকাটির একটা পর্যায়ে সংঘর্ষ বাঁধে। পরবর্তীতে তা এলাকায় দু-পক্ষে ছড়িয়ে পড়ে। এবং ঘটনায় প্রায় দুপক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছে।
ঘটনায় আহতরা হলেন, ভিংলাবাড়ি গ্রামের আলম মিয়ার ছেলে হাছান, আল- আমিনের স্ত্রী তানজিনা আক্তার, আবু তাহেরের ছেলে সম্রাট, বাচ্চু মিয়ার ছেলে সাগর, বাচ্চু মিয়ার ছেলে দুলাল মিয়া, আবু তাহেরের ছেলে সেলিম, কাদের মিয়ার ছেলে শাহ আলম সহ আরো কয়েকজন। আহতদের মধ্যে থেকে গুরুতর আহত ৪ জনকে দেবীদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে কুমেক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অন্যরা দেবীদ্বার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে জানা গেছে।
আহতদের দেবীদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দিতে আনলে দ্বিতীয় দফায় সেখানে শহিদ মিয়ার ছেলে মোঃ হাসানের নেতৃত্বে একদল ছেলে রুগী ও তাদের স্বজনদের ওপর হামলা চালিয়ে আবারো মারধর করেছে বলে অভিযোগ করছে আহত সম্রাট ও শাহজাহান। এ ঘটনায় হাসপাতাল প্রাঙ্গনে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। ঘটনা নিয়ন্ত্রণে রাখতে রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত হাসপাতাল সংলগ্ন এলাকায় পুলিশ মোতায়েন থাকতে দেখা গেছে।
হাসপাতাল প্রাঙ্গনে দ্বিতীয় দফায় মারধরের ঘটনা বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত হাসানের সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও কথা বলা সম্ভব হয়নি।
এবিষয়ে মসজিদ বায়তুল আমান জামে মসজিদ কমিটির সাধারন সম্পাদক মোঃ নেছার উদ্দীনের সাথে কথা বললে তিনি জানান, মসজিদে ইফতার নিয়ে এমন ঘটনা সত্যিই লজ্জাজনক। ঘটনার সময় আমি উপস্থিত ছিলাম না। শুনেছি ছেলেদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হলে মুরব্বিরা নামাজ শেষে এর বিচার করে দিবে বলে মাগরিবের নামাজ পরতে গেলে এরিমধ্যে দুলাল এবং বাবুর মধ্যে আবারো সংঘর্ষ বাঁধে। পরে তা এ পর্যন্ত গড়ায়।
দেবীদ্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি কমল কৃষ্ণ ধর সোমবার রাত ১১টা ৪০ মিনিটে জানান, মারামারির ঘটনায় এখনো পর্যন্ত কোনো অভিযোগ হাতে পাইনি। তবে হাসপাতালের ভিতরে ঘটনায় আমাদের অফিসাররা সেখানে গিয়েছেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে।