আজ আমার জন্মদিন।শুরুতেই বেশুমার শুকরিয়া মহান আল্লাহ রাব্বুল আল-আমিন এর দরবারে যিনি আমাকে সৃষ্টি করেছেন এবং বিভিন্নভাবে সম্মানীত করেছেন। সীমাহীন শ্রদ্ধা মা খোরশেদা বেগমের প্রতি যিনি ৯মাস ১০দিন গর্ভে ধারণ করে মৃত্যুর সাথে পান্জা লড়ে আমাকে পৃথিবীর আলো দেখিয়েছেন। ভাষা সৈনিক মুক্তিযদ্ধের সংগঠক বীর মুক্তিযোদ্ধা তাজুল ইসলাম এর নামেই বৃহত্তর কুমিল্লায় আমি পরিচিত, এমন একজন বাবা আমার জন্য সৃয্টিকর্তার অপার নেয়ামত।আমার জীবনের আইডল তিনি।
জন্মের পর থেকে কালে কালে পাঁচ যুগ ধরে গোমতী ডাকাতিয়ায় অনেক পানি গড়াতে দেখেছি।জীবনের দীর্ঘ এ পথচলায় অর্জনের খাতা অনেক ভারী হয়েছে। কিন্তু বিনিময় দিতে পারিনি কিছুই।
অর্জনের খাতায় সর্বশেষ ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর এর ২২তারিখ যুক্ত হয়েছিল কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে পদায়ন। আপনাদের বাঁধভাংগা উচ্ছ্বাসে আমি ভেসে গিয়েছিলাম। ঐদিন থেকে শুরু করে মোটামুটি তিনদিন আমার ফেসবুক ওয়ালে আপনাদের অভিনন্দন বার্তা ছাড়া আর কিছুই কারো চোখে পড়েনি। ৩দিন আমি ফোন করার খুব একটা সুযোগ পাইনি দেশ বিদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আপনাদের কল রিসিভ করতে করতে। ২মাস যাবত ফুলের প্লাবনে নিমজ্জিত হয়েছি বারবার। শিক্ষাবোর্ডের কর্মচারিদের বলতে শুনেছি তাদের বোর্ডে কর্মকালীন সময়ে গত ৩০ বছরেও তারা এতো ফুল দেখেনি।
আমি তখনো ভেবে পাইনি আজও ভেবে পাইনা আমার মতো অর্বাচীন কোন যোগ্যতায় এভাবে আপনাদের ভালোবাসায় সিক্ত। আমি কি দিয়ে শোধ করবো এ ঋণ।
কতোটা ধারণ করলে কুমিল্লার মাটি ও মানুষের নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার আমার চেয়ারম্যান নিযুক্তির পর বলেছিলেন ‘এতোদিনে আমাদের মানুষ’ কুমিল্লা বোর্ডের চেয়ারম্যান নিযুক্ত হয়েছে। আমি ৪৫বছর যাবত তাঁর স্নেহে সিক্ত, তাঁর স্নেহের এ প্রশ্নেই থাকতে চাই সবসময়।
আমার মতো অতি নগন্য মানুষকে আপনারা ‘আপনাদের মানুষ’ হিসেবে যখন বিভিন্ন সভা সমিতিতে উপস্থাপন করেন তখন আমি শংকিত হই আপনাদের ভালোবাসার প্রতিদান দেয়ার নূন্যতম যোগ্যতাও যে আমার নাই।
২২সেপ্টেম্বর ২০২২ এর পর আমি ফেসবুকে আজ পর্যন্ত আমি কোন স্ট্যাটাস দেইনি কারণ আপনাদের গগনচুম্বী ভালোবাসার কোন বিনিময় আমার কাছে নেই। আমি আমৃত্যু আপনাদের ভালোবাসার ঋণে বন্দি থাকতে চাই।
সবশেষে এতোদিন পরে হলেও আমার চেয়ারম্যান পদায়নের কাজে যাঁদের কাছে সরাসরি ঋণি তাঁদের কয়েকটি নাম উল্লেখ না করলে আমি অপরাধি থেকে যাবো। এ ক্ষেত্রে যিনি অগ্রণী তিনি আমার নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা বাহার ভাই এমপি। মাননীয় অর্থমন্ত্রী লোটাস কামাল এমপি, গভীর শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী ডা: দীপু মনি এমপি এর প্রতি। মাননীয় শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী এমপি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর একান্ত সহকারী কৃষিবিদ হুমায়ূন ভাই, শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের মাননীয় সচিব আবু বকর ছিদ্দীক, অতিরিক্ত সচিব বন্ধুবর ফজলুর রহমান, আমার শ্যালক কিশোরগন্জ জেলা আওয়ামীলীগ এর বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাগক এনায়ে করিম অমি, আরেক ছোটভাই জামিলুর রহমান সহ আরো অনেকের প্রতি অনিশেষ কৃতজ্ঞতা।
চাঁদপুর পুরানবাজার ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ জনাব রতন কুমার মজুমদার যা করেছেন তার জন্য কৃতজ্ঞতার কোন ভাষা আমার নেই। তাঁর কাছে ঋণ সীমাহীন।
একটাই অনুরোধ, দোয়ায় রাখবেন যাতে আপনাদের হয়েই থাকতে পারি।
সকলের জন্য বাংলা ১৪৩০ সালের শুভেচ্ছা।
শুভ নববর্ষ ১৪৩০।