মোঃ রেজাউল হক শাকিল, ব্রাহ্মণপাড়া প্রতিনিধি:
কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার একমাত্র পাবলিক লাইব্রেরিটি (গণগ্রন্থাগার) গত ১৫ বছর যাবত বন্ধ। এখন নেই এর কোন অস্তিত্ব এর পূর্বে এ পাবলিক লাইব্রেরিটি জরাজীর্ণ ভবনের পলেস্তারা উঠে স্যাঁতসেঁতে মেঝে, বৃষ্টিতে ছাদ চুঁইয়ে পানি ভেতরে পড়ে এর মধ্যে দাড়িয়েছিল লাইব্রেরি। পানিতে ভিজে আর তেলাপোকায় নষ্ট করেছিল লাইব্রেরির মূল্যবান বই ও আসবাবপত্র।
ঐ এলাকার বইপ্রেমীদের কোনো কাজে আসছে না ঐ লাইব্রেরি। তবে সহসাই এই লাইব্রেরিটি নতুন আঙ্গিকে সাজানো হবে বলে উপজেলা প্রশাসন সূত্র জানিয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার একমাত্র পাবলিক লাইব্রেরি অস্তিত্ব নেই। এ লাইব্রেরিতে থাকা কোরআনের তরজমা-তাফসির, শিশুদের বিভিন্ন বই, ইসলামি ডিকশনারি, উপন্যাস, রাজনীতি, আইন ও শিক্ষামূলক অসংখ্য বই ছিল। লাইব্রেরির প্রায় ২ লাখ টাকার মূল্যবান বই পানিতে ভিজে এবং তেলাপোকাসহ পোকামাকড়ে নষ্ট করে ফেলছে। এছাড়া ভবনের ভেতরে আটটি আলমারি, দুটি বই পড়ার বড় টেবিল, বই রাখার একটি শেলফ, কাঠের ছোটো-বড়ো ১৯টি চেয়ার, একটি সেক্রেটারিয়েট টেবিলসহ মূল্যবান আসবাবপত্র নষ্ট হয়ে গেছে।
উপজেলা পাবলিক লাইব্রেরির সাধারণ সম্পাদক নাছিরউদ্দিন মারা যাওয়ার পর বইগুলো আজ এর অস্তিত্ব হারিয়েছে। লাইব্রেরির ভবনটি না থাকার ফলে পাঠকরাও বই পড়া থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা আলহাজ্ব আবু জাহের ফাউন্ডেশন কলেজের অধ্যক্ষ বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ সৈয়দ আব্দুল কাইয়ুম বলেন, বই হচ্ছে জ্ঞানের ভান্ডার এবং মানব জীবনের আসবাবপত্র হিসেবে বই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ‘বইয়ের প্রতি মানুষের আগ্রহ বৃদ্ধি এবং পাঠাভ্যাস গড়ে তোলার মাধ্যমে আলোকিত মানবসমাজ গঠনের কার্যকরী ভূমিকা রাখে। এক্ষেত্রে একটি উপজেলার একমাত্র পাবলিক লাইব্রেরি দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে বন্ধ থাকার বিষয়টি দুঃখজনক।’
ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহমুদা জাহান জানান, পাবলিক লাইব্রেরিটি দীর্ঘদিন যাবত পরিত্যক্ত ছিল। বর্তমানে পাবলিক লাইব্রেরির জায়গাটিতে উপজেলা কমপ্লেক্সের নতুন ভবন তৈরি হচ্ছে। আগামী কিছুদিন মধ্যে উপজেলা কমপ্লেক্সের নতুন ভবনের এই লাইব্রেরিটি নতুন আঙ্গিকে সাজানো হবে।