নিজস্ব প্রতিবেদক
কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলায় ভুয়া কাগজপত্র ব্যবহার করে জমির জাল দলিল রেজিস্ট্রি করার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে এক দলিল লেখকের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় দলিল লেখক মো. আবুল কালাম আজাদকে শোকজ নোটিশ দিয়েছেন উপজেলা সাব-রেজিস্টার কর্মকর্তা এ কে এম মীর হাসান। একই সঙ্গে তার দলিল লেখার কার্যক্রম সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে।
জানা যায়, উপজেলার বড় হরিপুর মৌজায় একটি জমির রেজিস্ট্রির জন্য মৃত আমির হোসেনের ছেলে দলিল লেখক মো. আবুল কালাম আজাদ (সনদ নং ৬৬) দলিল জমা দেন। উক্ত দলিলে দাতা হিসেবে উল্লেখ ছিল নিলুফা বেগম গং এবং গ্রহীতা ছিলেন আব্দুর রহিম।
সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রার অফিসে দলিলটি পর্যালোচনার সময় কর্মকর্তারা কাগজপত্রে অসঙ্গতি খুঁজে পান। দলিলে পূর্ববর্তী বিএস খতিয়ান, মালিকানা বা খারিজসংক্রান্ত তথ্য উল্লেখ না থাকায় বিষয়টি নিবন্ধন আইনের ধারা ৫২(ক) লঙ্ঘন হিসেবে ধরা পড়ে।
এ প্রসঙ্গে সাব-রেজিস্টার কর্মকর্তা এ কে এম মীর হাসান বলেন,দলিলের ২০ নম্বর কলামে স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে যে, হস্তান্তরিত সম্পত্তির সঠিক পরিচয় ও বাজারমূল্য সম্পর্কে অবগত হয়ে দলিলটি সম্পাদন করা হয়েছে। এতে প্রমাণিত হয় যে দলিল লেখক ইচ্ছাকৃতভাবেই জাল দলিল প্রস্তুত করেছেন। এজন্য তাকে তিন কার্যদিবসের মধ্যে লিখিত জবাব দিতে বলা হয়েছে।
দলিলের দাতা নিলুফা বেগম অভিযোগ করে বলেন,আমাকে অবগত না করেই দলিল লেখক ভুল তথ্য দিয়ে দলিল সম্পন্ন করার চেষ্টা করেছেন। পরে সাব-রেজিস্টার অফিসে গিয়ে বিষয়টি জানতে পারি।
এদিকে, অভিযোগের তদন্ত চলাকালে মো. আবুল কালাম আজাদের দলিল লেখার কার্যক্রম স্থগিত রাখা হয়েছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সন্তোষজনক জবাব না পেলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা।
তবে এ বিষয়ে অভিযুক্ত দলিল লেখক আবুল কালাম আজাদের কাছে জানতে চাইলে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। অভিযোগ রয়েছে, পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী স্থানীয় এক ছাত্রলীগ নেতাকে দিয়ে তিনি সাংবাদিকের ওপর হামলা চালায়।
এ বিষয়ে বুড়িচং উপজেলা দলিল লেখক সমিতির সাধারণ সম্পাদক হাজী সিদ্দিকুর রহমান বলেন, পূর্বে ও তার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ পাওয়া গেছে, আগামী সভায় বিষয়টি যাচাই করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।