প্রেস বিজ্ঞপ্তি
কুমিল্লার হোমনায় ৪ টি মাজারসহ সারাদেশের বিভিন্ন স্থানে মাজার, দরবার ও খানকা শরীফে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ধর্মীয় , সামাজিক ও আধ্যাত্মিক সংগঠন গাউছিয়া ইসলামিক মিশন, কুমিল্লার প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান, সাংবাদিক ও কলামিস্ট গাজী মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম জাবির।
রবিবার (২১ সেপ্টেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি নিন্দা জানিয়ে বলেন, সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন স্থানে মাজারে হামলার দুইটি কারণ থাকতে পারে। এক, অলি - আউলিয়া বিদ্বেষী, মাজার বিরোধী উগ্র জঙ্গি গোষ্ঠী। দুই, অপর একটি কুচক্রী মহল দেশে অশান্তি সৃষ্টি করে নির্বাচন বানচালের অপচেষ্টা ।
জাহাঙ্গীর আলম জাবির বলেন, অলি আউলিয়াদের মাজারের পবিত্রতা ও সম্মান রক্ষা করা সকলের দায়িত্ব। তবে মাজারকে কেন্দ্র করে কোন অনৈতিক কাজ হয়ে থাকলে সামাজিক বা রাষ্ট্রীয়ভাবে বন্ধ করার ব্যবস্থা নেওয়া যায়। কিন্তু,আইনকে হাতে তুলে নিয়ে হামলা, ভাংচুর ,লোটপাট, অগ্নিসংযোগ করা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। প্রকৃত ইন্দন দাতা ও অপরাধীদের চিহ্নিত করে শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানান তিনি।
তিনি আরো বলেন, যেকোনো ধরনের মব সন্ত্রাস ও মব জাস্টিস, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড কঠোর হস্তে দমন করা উচিত। দেশে আইনের শাসন ও ন্যায় বিচার নিশ্চিত না থাকলে জনগণ আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রাখতে ব্যর্থ হয়। রাষ্ট্রের কাছে ন্যায় বিচার পাওয়ার নিশ্চয়তা থাকলে কেউ আইন হাতে তুলে নিবে না।
মিশনের চেয়ারম্যান বলেন, বাংলাদেশ একটি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। অন্যান্য দেশে মুসলিম সম্প্রদায় যতটা নির্যাতিত-নিপীড়িত সে তুলনায় ভিন্ন মত ও ভিন্ন ধর্মের লোকেরা বাংলাদেশে যথেষ্ট নিরাপদে আছে। দেশি-বিদেশি কোন একটি চক্র বাংলাদেশের বদনাম করার জন্য বা সাধারণ মুসলমান ও আলেম-ওলামাদেরকে তথাকথিত সন্ত্রাসী ও জঙ্গি হিসেবে মিথ্যা ট্যাগ লাগানোর উদ্দেশ্যে ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছে। দেশের শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় সকলকে যার যার অবস্থান থেকে সজাগ দৃষ্টি ও কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে। আসন্ন দুর্গাপূজাসহ যেকোনো অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সরকারের দায়িত্ব।
জাবির বলেন, প্রকৃত ওলিদের মাজার যেখানে যেভাবে আছে স্বসম্মানে সে স্থানে থাকবে। তাতে কোন অজুহাত চলবে না। তবে, দেশের কোথাও যদি ভুয়া মাজার বা বেহায়াপনা, মদ-জুয়াসহ শরীয়ত বিরোধী অনৈতিক কর্মকাণ্ড চলে সে বিষয়ে রাষ্ট্রীয় পদক্ষেপ নিতে আপত্তি নেই।