নাঙ্গলকোট প্রতিনিধি:
কুমিল্লার নাঙ্গলকোটের রায়কোট দক্ষিণ ইউনিয়নের পূর্ব বামপাড়া গ্রামের মরহুম বাহার মিয়ার স্ত্রী বিধবা হারিছা বেগমকে বসত বাড়ি-ঘর থেকে উচ্ছেদ চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে ওই গ্রামের মরহুম তিতা মিয়ার ছেলে আহসান উল্লাহ ও এয়াছিনের বিরুদ্ধে। আদালতে মামলা চলমান থাকার পরও অভিযুক্ত আহসান উল্লাহ ও এয়াছিন বিধাবা হারিছার ঘর-সহ বাড়ির উঠানে বাঁশের বেড়া দিয়ে ঘরবন্দি করে রাখা ও বাড়িঘর ছেড়ে দেয়ার হুমকি দিচ্ছে। বাঁশের বেড়া দিতে বাঁধা দেয়ায় বিধাবা হারিছার মেয়ের জামাতা আজিম উদ্দিনের উপর আহসান উল্লাহ, এয়াছিন ও তাদের পরিবারের লোকজনসহ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। এঘটনায় বিধবা হারিছা বেগমের মেয়ে জামাতা একই গ্রামের ইব্রাহীম খলিলের ছেলে আজিম উদ্দিন বাদী হয়ে নাঙ্গলকোট থানায় লিখিত অভিযোগ করেন এবং ছেলে দেলোয়ার হোসেন বাদি হয়ে কুমিল্লার আদালতে মামলা দায়ের করে।
মামলা ও অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার পূর্ব বামপাড় গ্রামের মরহুম মাকু মিয়া, ইদ্রিস মিয়া, সিদ্দিক মিয়া তারা ৩ ভাই। মাকু মিয়ার দুই ছেলে ও চার মেয়ের মধ্যে দুই ছেলে প্রতিবন্ধী হওয়ায় ওই দুই ছেলের ৩০ শতক জমি মাকু মিয়া তার ভাই ইদ্রিস মিয়াকে মৌখিক ভাবে ও পরবর্তিতে বিএস খতিয়ান করে দেন। পরবর্তীতে ইদ্রিস মিয়া ও তার ভাই সিদ্দিক মিয়ার মৃত্যুর পর তাদের সকল ওয়ারিশগণ ওই ৩০ শতক জমির মধ্যে ১৩শতক জমিতে ইদ্রিস মিয়ার ছেলে মরহুম বাহার মিয়ার বিধবা স্ত্রী হারিছা বেগমকে বাড়িঘর নির্মাণ করে বসবাস করতে দখল বুঝিয়ে দেন। এরপর থেকে বিধবা হারিছা আত্মীয়-স্বজন’সহ এলাকাবাসীর নিকট থেকে সহায়তা নিয়ে মাটি ভরাট করে ঘর নির্মাণ করে দীর্ঘ ৩০ বছর যাবৎ বসবাস করে আসছে। বিধবার বাড়ির জমিটিতে নজর পড়ে পাশ্ববর্তী বাড়ির আহসান উল্লাহ, তার ভাই এয়াকুব ও এয়াছিনের। তারা ২০১৪ সালে মাকু মিয়ার ২৭ ওয়ারিশের মধ্যে ৩ ওয়ারিশের নিকট থেকে বিধবা হারিছার বাড়ির জমিটিতে একটি কবলা সৃষ্টি করে দখল করার পায়তারা করে আসছে।
অভিযুক্ত আহসান উল্লাহ বলেন, মাকু মিয়ার ওয়ারিশগণ আদালতের মাধ্যমে বিএস খতিয়ান পরিবর্তন করে আমাদের নিকট জমিটি বিক্রি করেছে। তারা ঘরবাড়ি ভেঙ্গে নিয়ে আমার জমি খালি করে না দেয়ায় আমি আমার ক্রয়কৃত জমি দখল করতে বাঁশের বেড়া দিয়েছি। আমরা কোন হামলা করিনি।
নাঙ্গলকোট থানা অফিসার ইনচার্জ এ কে ফজলুল হক বলেন, আমি আসার পর এ ঘটনায় কোন অভিযোগ হয়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।