নেকবর হোসেন
কুমিল্লার মুরাদনগরের বাঙ্গরাবাজার এলাকায় দুই সন্তানসহ নারীকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনার পরিকল্পনাকারী হিসেবে অভিযুক্ত মামলার ৩ নম্বর আসামি স্থানীয় ইউপি সদস্য বাচ্চু মিয়া হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিতে রাজি হয়েও শেষ পর্যন্ত দেননি।
রোববার (৬ জুলাই) সন্ধ্যায় কুমিল্লা আদালত পুলিশের পরিদর্শক মো. সাদেকুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আদালত সূত্র জানায়, রোববার বিকেলে চাঞ্চল্যকর তিন খুনের ঘটনায় ঢাকায় র্যাবের হাতে আটক ছয়জনকে কুমিল্লার আদালতে হাজির করে পুলিশ। আসামিদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন ৫ নম্বর চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক সিদ্দিক আজাদ।
কুমিল্লা আদালত পুলিশের পরিদর্শক মো. সাদেকুর রহমান বলেন, বিকেলে ছয় আসামিকে আদালতে হাজির করা হলে বিচারক পাঁচজনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। আর মামলার ৩ নম্বর আসামি বাচ্চু মিয়া স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে চান। কিন্তু প্রায় আড়াই ঘণ্টা অপেক্ষার পর তিনি আর স্বীকারোক্তি দিতে রাজি হননি। পরে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। সন্ধ্যা সাতটার দিকে তাকেও কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়। এ নিয়ে এই মামলায় মোট আটজনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে গত শনিবার সন্ধ্যায় সেনাবাহিনীর হাতে আটক দুই আসামিকে পুলিশের মাধ্যমে আদালতে হাজির করা হলে আমলি আদালত ১১-এর বিচারক মমিনুল হক তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
গত ৪ জুলাই বাঙ্গরাবাজার থানা এলাকার কড়ইবাড়ীতে মাদক সম্পৃক্ততার অভিযোগ এনে নিজ বাড়ির সামনে রোখসানা বেগম রুবি, তার মেয়ে জোনাকি আক্তার ও ছেলে রাসেল মিয়াকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়। ওই ঘটনায় রুবির মেয়ে রিক্তা আক্তার বাদী হয়ে ৩৮ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাতপরিচয় আরও ২৫ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন। এ পর্যন্ত এই মামলায় সেনাবাহিনী ও র্যাব মোট আটজনকে গ্রেফতার করেছে।