ব্রাহ্মণপাড়া প্রতিনিধি:
কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ায় মৌসুমি নানা জাতের ফলে বাজার ভরে গেছে। এতে মৌসুমি ফলের দখলে এখন ফল বাজার। তবে মৌসুমি ফলের চাহিদা ও সরবরাহ বাড়ায় কদর কমেছে আমদানিকৃত ফলের।
শনিবার ( ২১ জুন ) বিকেলে উপজেলার বিভিন্ন ফলের দোকান ঘুরে দোকানী ও ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।
দোকানীরা বলছেন, এখন বাজারে পর্যাপ্ত পরিমাণে বিভিন্ন জাতের দেশীয় আমের সরবরাহ বেড়েছে। পাশাপাশি কাঁঠাল, লিচু, লটকন, জাম, পেয়ারাসহ নানা জাতের দেশী মৌসুমি ফলের সরবরাহও রয়েছে। ফল বাজার এখন দেশী নানা জাতের ফলের দখলে। বাজারে দেশী ফলের সমারোহে ক্রেতারা আমদানিকৃত বিদেশি ফলের চেয়ে দেশী ফলের দিকেই বেশি ঝুঁকছে। এতে বিদেশি ফলের চাহিদা অনেকটাই কমেছে, আর বেড়েছে দেশী ফলের চাহিদা।
এদিকে ক্রেতারা বলছেন, মাল্টা, আপেল, আঙুরসহ বিদেশি অধিকাংশ ফল বছরের সবসময়ই পাওয়া যায়। হরহামেশাই এসব ফল খাওয়া হয়। তবে দেশী মৌসুমি ফল সবসময় পাওয়া যায় না। মৌসুম অনুযায়ী এসব ফল বাজারে আসে। তাই দেশী ফলের প্রতি এতোটা চাহিদা ক্রেতাদের।
উপজেলার সদর বাজারের ফল বিক্রেতা ইকবাল হাসান বলেন, এখন বাজারে অনেক জাতের দেশী মৌসুমি ফলের সরবরাহ বেশি। ক্রেতাদের দৃষ্টি এখন মৌসুমি ফলের দিকে। দেশী এসব ফলের দামও কম। তাই আমদানিকৃত বিদেশি ফলের প্রতি ক্রেতাদের আগ্রহ কম, তাই বিদেশি ফলের বিক্রিও কমেছে।
মামুন মিয়া নামে উপজেলার সাহেবাবাদ বাজারের আরেক ফল বিক্রেতা বলেন, মৌসুমি ফলের সরবরাহ বেশি তাই আমদানিকৃত ফলের চাহিদা কমেছে। বিদেশি ফলের তুলনায় মৌসুমি ফলের দামও কম। এজন্য ক্রেতারা দেশী ফল বেশি কিনছে। তাই ব্যবসায়িক স্বার্থে আমরা এই সময়ে বিদেশি ফলের চেয়ে দেশী ফলের মজুদ বেশি রাখছি।
তাসনোভা ইসলাম বন্যা নামের এক ফল ক্রেতা বলেন, সবসময়ই তো বিদেশি ফল খাওয়া পড়ে। দেশী জাতের ফল মৌসুম ছাড়া পাওয়া যায় না। আত্মীয়ের বাড়ি বেড়াতে যাচ্ছি, এজন্য আম ও লিচু কিনেছি।
আরাফাত ইসলাম শান্ত নামে আরেক ক্রেতা বলেন, ফল দোকান থেকে ৫ কেজি দেশী আম কিনেছি। এখন আমের সিজন। অন্য সময় হলে হয়তো আমের বদলে আপেল বা মাল্টা কিনতাম। এখন দেশী ফল বাজারে বেশি পাওয়া যাচ্ছে, তাই দেশী ফলের চাহিদাও বেশি।