ব্রাহ্মণপাড়া প্রতিনিধি:
কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ার বেশ কয়েকটি গ্রামে নারী-শিশু ও পুরুষসহ শতাধিক মানুষ ফুচকা ও ভেলপুরি খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। শুক্রবার(৯ মে) বিকেলে উপজেলার মাধবপুর ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি গ্রামের অস্থায়ী একটি ভ্রাম্যমাণ দোকান থেকে ভেলপুরি ও ফুচকা খেয়ে নারী ও শিশুসহ অর্ধশতাধিক অসুস্থ হয়ে পড়ে।
অসুস্থদের মধ্যে প্রায় ৫২ জনকে স্থানীয় মাধবপুর মাতৃসেবা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে ১৬ জন ছিল শিশু। অসুস্থ আরও ৫ জন শিশুসহ মোট ৩০/৩৫ জনকে দেবিদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে মকিমপুর এলাকার ফুচকা ও ভেলপুরি ব্যবসায়ী
লিটন দাস পলাতক রয়েছেন।
স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, লিটন দাস মাধবপুর ইউনিয়নের মকিমপুর এলাকার বাসিন্দা। তিনি মাধবপুর ইউনিয়নের আশেপাশে বেশ কয়েকটি গ্রামে অস্থায়ী ভ্রাম্যমান দোকান বসিয়ে ভেলপুরি ও ফুচকা বিক্রি করতেন। শুক্রবার বিকেলে লিটন দাস এর কাছ থেকে চার গ্রামের শতশত মানুষ এ ফুচকা ও ভেলপুরি খেয়েছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
লিটন দাস এর দোকান থেকে ভেলপুরি খেয়ে রাতে বাড়িতে যাওয়ার পর পেটে যন্ত্রণা, পাতলা পায়খানা, বমি ও খিচুনি শুরু হয়। নারী শিশুসহ শতাধিক মানুষ সেদিন রাতে মাধবপুর মাতৃসেবা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হন। পরের দিন সকাল থেকে সন্ধা পর্যন্ত আরও অনেকে পার্শ্ববর্তী উপজেলায় দেবিদ্বার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছেন বলে জানা যায়।
মাধবপুর মাতৃসেবা জেনারেল হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাক্তার আরিফুল ইসলাম বলেন, খাবারে জীবাণু থাকার কারণে এ অবস্থা হয়েছে। বমি ও ডায়রিয়ার উপসর্গ নিয়ে রোগী ভর্তি শুরু করেছে। আস্তে আস্তে রোগীর পরিমাণ বাড়তে থাকে। অন্তত ৫২ জন রোগী হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসেছেন।
তিনি আরও বলেন, ৫২ জন আমাদের হাসপাতালে ভর্তি ছিল। তাদের মধ্যে শিশু ও গর্ভবতী নারীসহ গুরুতর কিছু রোগী রয়েছে।
ব্রাহ্মণপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেলোয়ার হোসেন বলেন, এ বিষয়টি কেহ জানাই নি। আপনার কাছ থেকেই শুনলাম। আমি খোঁজ নিয়ে দেখছি।