নেকবর হোসেন
বিগত আওয়ামী লীগের ফ্যাসিস্ট সরকারের শাসনামলে বিরোধী দল দমনে রাজনৈতিক মামলা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
গত ৫ মে সোমবার কুমিল্লা জজকোর্টের পাবলিক প্রসিকিউটর কার্যালয় থেকে পিপি কাইয়ুম হক রিংকু স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে কুমিল্লা জেলা থেকে ১৩৪ টি মামলা সরকার প্রত্যাহার করেছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। তিনি আরো জানিয়েছেন ফৌজদারী কার্যবিধি ১৮৯৮এর ৪৯৪ ধারায়, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার, জননিরাপত্তা বিভাগ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আইন শাখা-১, রাজনৈতিক মামলাগুলো প্রত্যাহারের আদেশের সিদ্ধান্ত নেন। পরবর্তী ধাপে আশা করা যায় অন্যান্য রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে দায়েরকৃত সকল মিথ্যা গায়েবি মামলা সমূহ সরকার প্রত্যাহার করে নিবেন।
কুমিল্লা জেলার ১৬ টি থানাওয়ারি প্রত্যাহারকৃত মামলার সংখ্যা হচ্ছে: মুরাদনগর থানার ২৭ টি, কোতয়ালী মডেল থানা ২০, বাঙ্গরা বাজার থানা ১১, নাঙ্গলকোট থানা ১১, বুড়িচং থানা ১০, চান্দিনা থানা ৯, বরুড়া থানা ৮, সদর দক্ষিণ থানা ৭, লাকসাম থানা ৭, দেবিদ্বার থানা ৬, মনোহরগঞ্জ থানা ৫, হোমনা থানা ৫, দাউদকান্দি থানা ৩, তিতাস থানা ২, ব্রাহ্মণপাড়া থানা ২ টি এবং মেঘনা থানার ১ টি মামলাসহ মোট ১৩৪ টি মামলা প্রত্যাহার করা হয়েছে।
এসব মামলার অধিকাংশই ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইন ও ১৯০৮ সালের বিস্ফোরণ দ্রব্য আইনের বিভিন্ন ধারায় ২০১৪ সাল থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে দায়ের করা ছিল।
এমন একটি মামলার ভুক্তভোগী মুরাদনগর উপজেলার ১নং শ্রীকাইল ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ২০১৬ সালে বিএনপির মনোনয়নপ্রাপ্ত এম কে আই জাবেদ বলেন: ২০১৮ সালের অক্টোবর মাসে সংসদ নির্বাচনের রাজনৈতিক ভাবে দমনের উদেশ্যে নাশকতার অভিযোগে সম্পূর্ণ মিথ্যা গায়েবি মামলা পুলিশের এসআই বাদী হয়ে মামলা করেন। অথছ এসব মামলার বর্ণনার ঘটনাস্থলের সাথে স্বাক্ষীদের জানা ছিল না, এমনকি আসামিদের মধ্যে পর্যন্ত কেউ কাউকে আগে চিনত না। গ্ৰেফতার আতংকে বিএনপির নেতাকর্মীরা কেউ জামিন নিয়েছেন, কেউ বছরের পর বছর আত্মগোপনে থাকতে হয়েছে। তাদের মধ্যে অনেকেই একাদিকবার গ্ৰেফতার হয়ে জেল খেটেছেন। মুরাদনগর ও বাঙ্গরা থানায় প্রায় শতাধিক এই ধরনের গায়েবি মামলা রয়েছে, তারমধ্যে ৩৮ টি প্রত্যাহার হয়েছে। অন্য মামলাগুলো প্রত্যাহারের দাবি করছি।