নাঙ্গলকোট প্রতিনিধি :
কুমিল্লার নাঙ্গলকোটের পেরিয়া ইউনিয়নের পূর্ব চান্দপুর গ্রামে ১২শতক জমিতে করা আকাশমনি বাগানের সব গাছ কেটে ফেলার অভিযোগ উঠেছে ওই গ্রামের লাল মিয়ার ছেলে হাবিবুর রহমান, তার পিতা লাল মিয়া, মাতা আমরুছের নেছা, হাবিবের ছেলে রাফি ও ছেরাজুল হকের ছেলে সাফায়েত হোসেনের বিরুদ্ধে।
গতকাল রোববার (২০ এপ্রিল) বিকালে এ গাছ কাটার ঘটনা ঘটে। গাছ কাটার খবর পেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত বাগান দেখতে গেলে অভিযুক্তরা বাগান মালিক একই গ্রামের মরুহুম সুরুজ মিয়ার ছেলে জাহাঙ্গীর আলমকে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা করে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানান ক্ষতিগ্রস্ত বাগান মালিক জাহাঙ্গীর আলম।
ভূক্তভোগী জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ২০১৩ সালে আমাদের গ্রামের লাল মিয়ার স্ত্রী আমরুছের নেছার নিকট থেকে আমি ছাপ কবলা ১০১৮৮ নং দলিলে ১২ শতক জমিন ক্রয় করি। দীর্ঘদিন যাবৎ জমিন বিক্রেতা আমরুছের নেছার ছেলে হাবিবুর রহমান আমার জমিটি জোর পূর্বক দখল করার পায়তারা করে আসছে। সর্বশেষ আমি ক্রয়কৃত জমিটিতে আকাশ মনি কাঠ গাছের বাগান করি। আমার বাগানটিতে রবিবার বিকালে হাবিব তার ছেলে রাফি, হাবিবের পিতা লাল মিয়া, মাতা আমরুছের নেছা, ও ছেরাজুল হকের ছেলে সাফায়েত হোসেন ধারালো অস্ত্র দিয়ে বাগানের সব গাছ কেটে ফেলে। আমি এ ব্যাপারে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
এ ব্যাপারে পেরিয়া ইউনিয়ন পরিষদ প্যানেল চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির মজুমদার, সমাজপতি একরামুল হক বলেন, হাবিব তার মায়ের বিক্রিত জমি নিজের দখলে রাখার চেষ্টা করে। এনিয়ে স্থানীয় ভাবে সমাধান না হওয়ায় পুলিশ ও সেনাবাহিনীতে অভিযোগ হয়। প্রশাসন বিষয়টি সমাধানে সামজপতিদের দায়িত্ব দিলে আমরা বিষয়টি সমাধান করে জাহাঙ্গীর আলমকে তার ক্রয়কৃত জমি বুঝিয়ে দিতে সক্ষম হই। পরবর্তীতে জাহাঙ্গীর তার জমিতে কাঠ গাছের বাগান করলে হাবিব ও তার পরিবারের লোকজন বাগানের গাছ গুলো কেটে ফেলে।
ঘটনায় অভিযুক্ত হাবিবুর রহমান বলেন, জায়গাটি আমাদের ছিলো। আমার মা তাকে ছাপকবলা দলিল দিয়েছে, আমি ওই দলিলে সনাক্তকারী। জমিটি আমাদেরকে ফেরৎ দেয়ার শর্তে বিক্রয় করেছি, এখন তিনি আমাদের নিকট থেকে টাকা নিয়ে জিমিটি ফেরৎ না দিয়ে আমাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ করছে।
নাঙ্গলকোট থানা অফিসার ইনচার্জ এ কে ফজলুল হক বলেন, এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।