নিজস্ব প্রতিবেদক:
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা জামায়াতে ইসলামীর চার মনোনীত প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়েছে।
গতকাল শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) লাকসাম সরকারি পাইলট উচ্চবিদ্যালয় মাঠে লাকসাম পৌর ও উপজেলা কর্মী সম্মেলনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার ওই চার মনোনীত প্রার্থীর নাম আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করেন।
ঘোষিত আসনের মনোনীত প্রার্থীরা হলেন- কুমিল্লা-৮ (বরুড়া) আসনে কুমিল্লা ইবনে তাইমিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ ও দক্ষিণ জেলা জামায়াতের কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যক্ষ শফিকুল আলম হেলাল, কুমিল্লা-৯ (লাকসাম-মনোহরগঞ্জ) আসনে কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি অধ্যাপক ড. এ কে এম সৈয়দ সরোয়ার উদ্দিন সিদ্দিকী, কুমিল্লা-১০ (সদর দক্ষিণ,লালমাই ও নাঙ্গলকোট) আসনে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি ও জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসের শুরা সদস্য মাও. মুহাম্মদ ইয়াসিন আরাফাত এবং কুমিল্লা-১১ (চৌদ্দগ্রাম) আসনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ও সাবেক সংসদ সদস্য ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের।
এ সময় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার উপস্থিত হাজার হাজার নেতাকর্মী, সমর্থক ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের উদ্দেশে বলেন, কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা জাতীয় নির্বাচনের জন্য আমরা প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি। কুমিল্লা ৮, ৯, ১০ ও ১১ আসনের মনোনীত এ চার প্রার্থীকে উপহার হিসেবে কেন্দ্রের পক্ষ থেকে দিয়ে গেলাম। তাদেরকে বিজয়ী করতে হবে। এ বিজয়ের জন্য ঘরে বসে থাকলে হবে না। প্রত্যেকটি ভোট কেন্দ্রে যত লোক বসবাস করে, যত ভোটার আছে তার অর্ধেকের বেশি মানুষকে জামায়াতে ইসলামীর সহযোগী ফরম পূরণ করা হবে। আমাদেরকে কর্মী, সমর্থক, শুভাকাঙ্ক্ষী বাড়াতে হবে।
এর আগে বক্তারা লাকসাম-মনোহরগঞ্জবাসীর জন্য কয়েকটি দাবি পেশ করেন। তারমধ্যে লাকসামকে জেলা ঘোষণা করা, নবাব ফয়জুন্নেছা চৌধুরানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় নামে একটি স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয় করা, লাকসামে ৫০০ শয্যার একটি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল করা, লাকসাম থেকে নারায়ণগঞ্জ পর্যন্ত নতুন রেলপথ স্থাপন করা, লাকসাম চৌদ্দগ্রাম সড়ক, লাকসাম মুদাফফরগঞ্জ সড়ক, লালমাই-চাঁদপুর সড়ককে চার লেনে উন্নীত করা, লাকসাম বাইপাস এবং বাগমারা বাজারের অবশিষ্ট দুই লেন সড়কের কাজ দ্রুত শেষ করা ও অবিলম্বে কুমিল্লার বিমানবন্দরটি চালুর ব্যবস্থা করা।