নিজস্ব প্রতিবেদক:
কুমিল্লার সব দর্জি দোকানে চলছে সেলাই। অনেক দোকানি বাড়িয়েছেন কারিগর।
কুমিল্লা নগরের বিভিন্ন দর্জি দোকান ঘুরে দোকানি, মাস্টার, কারিগর ও ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, পূর্বে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বাড়তি থাকায় বাজারে ছিল সেলাই কাজ কম ছিলো। তাই মানুষ জামা কাপড় কেনা বা সেলাই করাকে বিলাসিতা মনে করতো। যে কারণে সেলাই কাজও কম ছিল। কিন্তু এবছর সব কিছুর দাম কিছুটা কম হওয়ায় সেলাই কাজ বেড়েছে।
দামের দিক থেকেও ক্রেতারা সুবিধাজনক স্থানে আছেন। যেমন আগে যা ছিল, এখন তা-ই আছে। কিন্তু আমাদের সব খরচই বেড়েছে। আমরা সাধারণ থ্রি পিস সেলাই ৩৫০ টাকায়। তবে ডিজাইন ভেদে সেটা হাজারের বেশিও হতে পারে। এছাড়া ব্লাউজ ও বোরখা সেলাই ৫০০ টাকা। তবে ডিজাইনের পার্থক্যে দামও বেশি হয়।
এদিকে পুরুষদের জামাকাপড় সেলাই করে এমন দেকানে গিয়ে কথা বলে জানা যায় নারীদের তুলনায় পুরুষ জামা কাপড় কম সেলাই করে। আর দামও তেমন তা। হাজার দেড় হাজার টাকার মাঝেই পুরুষদের জামাকাপড় সেলাই হয়ে যায়। আমরা শুধুই পুরুষদের কাজ করি। তাই আমাদের তেমন চাপ নেই।
গত ৫ বছরের তুলনায় এবার কাজ বেড়েছে।
এখন শহরের আনাচে-কানাচে ছাতার মতো গজিয়েছে দর্জি দোকান। নব্বইয়ের দশকে এই শহরের দোকান ছিল হাতেগোনা কয়েকটি। তখন এ কাজ করে পাকা বাড়িও করেছেন অনেকে। সময় ফুরিয়েছে। খোরশেদ আলম, মো. ইউনুস, কামাল হোসেনের মতো অনেকেই ১০ বছর আগেও ভালো ব্যবসা করেছেন। এখন তেমন নেই। তবে গত বছরের তুলনায় এবার কাজ বেড়েছে।