নেকবর হোসেন
কুমিল্লার লালমাইয়ে চিপস কিনে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে এক বাকপ্রতিবন্ধী তরুণীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে ওই তরুণীর বাবা বাদী হয়ে দুজনের নাম উল্লেখ করে লালমাই থানায় ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়ের করেছেন।
বৃহস্পতিবার সকাল ৮টায় উপজেলার বাগমারা দক্ষিণ ইউনিয়নের পোহনকুচা গ্রামের একটি নির্মাণাধীন ভবনের শ্রমিকদের থাকার কক্ষে এ ধর্ষণ হয়। পুলিশ ওই তরুণীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে।
লালমাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হিমাদ্রি খিসা বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘ওই প্রতিবন্ধী তরুণীর বাবা একজন চা বিক্রেতা। বৃহস্পতিবার ঘটনার পর বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা হয়। পরবর্তীতে ভুক্তভোগীর বাবা পুলিশকে জানালে পুলিশ একজনকে গ্রেপ্তার করে। জড়িত অপর একজনকে ধরতে অভিযান পরিচালনা করছে পুলিশ।’
মামলায় উল্লিখিত আসামিরা হলো- উপজেলার বাগমারা দক্ষিণ ইউনিয়নের পোহনকুচা গ্রামের মৃত আরব আলীর ছেলে মো. জাহাঙ্গীর (৫০) ও মৃত রজ্জব আলীর ছেলে বাহার মিয়া (৫০)।
অভিযোগের পরপরই পুলিশ অভিযান চালিয়ে মামলার ১ নম্বর আসামি মো. জাহাঙ্গীরকে গ্রেপ্তার করেছে। শুক্রবার তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
ধর্ষিতার খালা বলেন, ‘আমার বোনের মেয়ে শারীরিক ও বাক প্রতিবন্ধী। সে প্রতিদিন সকালে বাড়ির পাশের রাস্তায় হাঁটাহাঁটি করে। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৭টার পরে বাড়ি থেকে বের হলে জাহাঙ্গীর তাকে সড়কের পাশের দুলালের দোকানে নিয়ে চিপস কিনে দেন। পরে তাকে একটি নির্মীয়মাণ ভবনের লেবার রুমে নিয়ে যান। বিষয়টি জানতে পেরে আমি সকাল ৮টায় ওই লেবার রুমে গিয়ে দেখি জাহাঙ্গীর ও বাহার মিয়া প্রতিবন্ধীকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করছেন। অপ্রীতিকর অবস্থায় দেখে আমি বাহার মিয়াকে চড়-থাপ্পড় দিই। তখন জাহাঙ্গীর ও বাহার মিয়া পালিয়ে যায়।’
লালমাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহ আলম বলেন, ‘প্রতিবন্ধী তরুণীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় থানায় মামলা রুজু হয়েছে। মামলার ১ নম্বর আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ভুক্তভোগীকে মেডিকেল চেকআপের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’